চকরিয়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পুলিশের সাথে ডাকাতদলের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সময় পুলিশ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় খোরশেদ আলম ভুট্টো (৩৭) নামের এক ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে। ওইসময় উদ্ধার করা হয়েছে দেশে তৈরী একটি বন্দুক, ৫ রাউন্ড গুলির খোসা, একটি রামদা ও তিনটি কিরিচ। গোলাগুলির ঘটনায় দুই এসআইসহ পুলিশের চার সদস্য আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে চকরিয়া-লামা-আলীকদম সড়কের ফাসিয়াখালীস্থ রিংভং বনবিটের ভেতরে সেতু এলাকায় ঘটেছে এ ঘটনা। গ্রেফতারকৃত ডাকাত ভুট্টো উপজেলার পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়নের ফজরআলী সিকদারপাড়া গ্রামের কোরবান আলীর ছেলে। এদিকে আহতবস্থায় তাকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল ও পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চমেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে গুলিবিদ্ধ ভুট্টো।
চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো.কামরুল আজম বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফাসিয়াখালীস্থ রিংভং বনবিটের ভেতরে গোপনে সড়ক ডাকাতির প্রস্তুতি নেয়ার খবর পেয়ে থানার এসআই রুহুল আমিন ও শাহাদাত হোছাইনের নেতৃত্বে পুলিশের একটিদল সেখানে অভিযান পরিচালনা করেন। ওইসময় ১০-১২জনের ডাকাতদল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করতে শুরু করে। এরই পর্যায়ে পুলিশদল আত্মরক্ষার্থে ১১রাউন্ড গুলি ছুঁেড়। ডাকাতরা ওইসময় কমপক্ষে ২০-২৫ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। ঘটনার সময় আহত পুলিশ সদস্যদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে আহত ডাকাত ভুট্টোকে ঘটনার পর প্রথমে উপজেলা হাসপাতাল ও পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চমেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে গুলিবিদ্ধ ভুট্টো।
চকরিয়া থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, গ্রেফতারকৃত ডাকাত খোরশেদ আলম ভুট্টো মানবপাচারের সাথে জড়িত। তার বিরুদ্ধে থানায় অস্ত্র, ডাকাতি ও দস্যুতা আইনে পৃথক ৬টি মামলা হয়েছে। পুলিশের সাথে গোলাগুলির ঘটনায় গতকাল থানায় অস্ত্র আইন, ডাকাতির প্রস্তুতি ও পুলিশ এসল্ড অভিযোগে তিনটি মামলা রুজু করা হয়েছে। #
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।