চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নে প্রহসনের বিচারে প্রতিবাদ করার জেরে দিনদুপুরে আওয়ামীলীগ নেতার বাড়িতে ঢুকে হামলা ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার বিকেল তিনটার দিকে ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের হেতালিয়াপাড়া গ্রামে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি রহুল আমিনের বাড়িতে ঘটেছে এ হামলার ঘটনা। ঘটনার পরপর থানা পুলিশের একটিদল ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন। তবে ওইসময় হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
অভিযোগে ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, তার ভাতিজা টমটম গাড়ি চালক আজম উদ্দিনের সাথে স্থানীয় অপর এক টমটম চালকের মধ্যে কয়েকদিন আগে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় স্থানীয় হাসপাড়া গ্রামের মিনার উদ্দিন নামের এক যুবক এগিয়ে এসে ঘটনাস্থলে আজম উদ্দিনকে মারধর করে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ঢেমুশিয়া স্টেশনস্থ আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে শালিসী বৈঠক অনুষ্টিত হয়।
আওয়ামীলীগ নেতা রুহুল আমিন অভিযোগ করেছেন, বিচার চলাকালে উপস্থিত বিচারকরা অভিযুক্ত মিনার উদ্দিনের পক্ষাবলম্বন করেন। ওইসময় আমার ছেলে সেলিম উদ্দিন অভিযুক্ত হামলাকারী মিনার উদ্দিনের কাছে জানতে চায় কেন চাচাতো ভাই আজম উদ্দিনকে মারধর করেছে। এরপরই উত্তেজিত হয়ে বিচারক এবং অভিযুক্ত মিনার উদ্দিন মিলে আমার ছেলে সেলিমকে মারধর করতে শুরু করে। আওয়ামীলীগ নেতা রুহুল আমিন বলেন, বিচার চলাকালে ঘটনার পর আমরা বাড়িতে চলে যাই। কিন্তু বিকাল তিনটার দিকে ১৫-২০জনের অস্ত্রধারী যুবক মোটর সাইকেল যোগে তার বাড়িতে এসে ঢুকে হামলা শুরু করে। এসময় তাঁরা প্রকাশ্যে অস্ত্র উচিঁয়ে প্রায় ৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। ঘটনার সময় পরিবার তিনিসহ সদস্যরা অন্যের বাড়িতে পালিয়ে গিয়ে প্রাণে রক্ষা পায় বলে দাবি করেন আওয়ামীলীগ নেতা রুহুল আমিন।
চকরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো.কামরুল আজম বলেন, ঢেমুশিয়া ইউনিয়নে দুই পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষের খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগে দুই পক্ষের লোকজন পালিয়ে যায়। ঘটনার ব্যাপারে কোন পক্ষই থানায় অভিযোগ দেয়নি।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।