নিজস্ব সংবাদদাতাঃ কক্সবাজারের চকরিয়ায় গত দুই মাস ধরে ডেঙ্গু আক্রান্ত প্রায় হাজারখানেক ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগি সনাক্ত হয়েছে। তন্মধ্যে একজন ছাত্রলীগ নেতা মারা গেলেও উপজেলা প্রশাসন দাবি করেছেন ১৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। শ্বেত কণিকা ত্রিশ হাজারের নিচে কমে যাওয়ায় ৭০ থেকে ৭৫জন রোগি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
ডেঙ্গু রোগ ভয়াবহ আকার ধারণ করায় মশা নিধনে চকরিয়া উপজেলা ও পৌরসভার পক্ষ থেকে স্প্রে করলেও তা কাজে আসছেনা। ডেঙ্গু রোগ নিয়ে উপজেলায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। জ্বর ও ব্যাথা অনুভব করলেই নারী-পুরুষরা ডেঙ্গু রোগের পরীক্ষা করতে হাসপাতালে ছুটে যায়। রোগির ভীড় দেখে কয়েকটি ল্যাব ও হাসপাতাল দেড়শ টাকা খরচের পরীক্ষায় ৮’শ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে কয়েকটি হাসপাতালে নামমাত্র ও হতদরিদ্রদের বিনামূল্যে পরীক্ষা করাচ্ছে বলেও জানা গেছে। ডেঙ্গুর প্রতিকার ও প্রতিরোধে জনসচেতনতামুলক প্রশিক্ষণ কর্মশালা করেছে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন।
গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন ‘মোহনায়’ আয়োজিত কর্মশালায় ডেঙ্গু রোগ নিয়ে অহেতুক আতংকিত না হয়ে প্রাথমিক পর্যায়েই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শাহবাজ। বক্তব্য রাখেন, ইউপি চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন, মাওলানা রহুল কুদ্দুস আনোয়ারী মাসউদ মোরর্শেদ প্রমুখ।
কর্মশালায় ডেঙ্গু রোগ ছড়ানো এডিস মশা নিধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হচ্ছে জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বেসরকারী সংস্থা সুজনের উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, চকরিয়ায় গত দুই মাসে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৮জন মারা গেছে। বিস্তারিত তথ্য প্রশাসনকে এখনো দেয়া হয়নি। তিনি আরো বলেন, পৌরসভা ও উপজেলার সমন্বয়ে দুটি টিম মশা নিধনে একযোগে কাজ করবে। এছাড়া নিজ নিজ বসতঘরের চতুরপাশে আবর্জনামুক্ত রাখার পরামর্শ দেয়া হয়। বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতালের পরিচালনা বোর্ড প্রধানদের কর্মশালায় ডেকে হতদরিদ্রদের বিনামূল্যে ও মধ্যম আয়ের লোকজনকে পরীক্ষা করতে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ফি ছাড় দেয়ার নির্দেশ দেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।