চকরিয়ায় দিনেদুপুরে দুর্বৃত্তদের হামলা ও মারধরে মোহাম্মদ আলমগীর নামের এক পরিবহন শ্রমিক নেতা গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার সময় নগদ টাকা ও ব্যাংক চেক লুটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার সকাল দশটার দিকে চকরিয়া পৌরশহরের শহীদ আবদুল পৌরবাস টার্মিনাল এলাকায় ঘটেছে এ হামলার ঘটনা। আহত শ্রমিক নেতার বাড়ি চকরিয়া উপজেলায়। তিনি কক্সবাজার জেলা সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের চারবারের নির্বাচিত কার্যকরী সভাপতি।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শ্রমিক নেতা মোহাম্মদ আলমগীর জানান, কক্সবাজার জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি:নং- চট্ট-২১২৯) এর অধীনে চকরিয়াস্থ পৌরবাস টার্মিনালে একটি কার্যালয় স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে ইতোমধ্যে চুক্তি হয়েছে। চুক্তি অনুযারী সংগঠনের সভাপতি হিসেবে তিনি শুক্রবার সকালে চুক্তির ২০ হাজার নগদ টাকা ও আরো ২০ হাজার টাকার একটি ব্যাংক চেক নিয়ে টার্মিনালে সহযোগি শ্রমিক নেতৃবৃন্দের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
আহত শ্রমিক নেতা মোহাম্মদ আলমগীরের অভিযোগ, ওইসময় সেখানে উপস্থিত থাকা আরকান সড়ক শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ন সম্পাদক কামাল আযাদের নির্দেশে লামা শ্রমিক পরিবহণ এসোসিয়েশনের সভাপতি রফিক আহমদসহ ৫-৬ জনের একটি দুর্বৃত্তদল উপস্থিত হয়ে অতর্কিত তার (আহত আলমগীর) ওপর হামলা চালায়। ওইসময় হামলাকারীরা তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে মাটিতে ফেলে দেয়। এরপর তার পকেটে থাকা নতুন শ্রমিক কার্যালয়ের আসবাবপত্র ক্রয়ের ৫০ হাজার টাকা, ২৮ হাজার ৬শত টাকা ও ব্যাংক চেক, ১টি মোবাইল সেট ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয় বলে দাবি করেন আহত শ্রমিক নেতা।
এদিকে হামলার খবর পেয়ে দুপুরে শ্রমিক নেতা আলমগীরকে দেখতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেন জেলা সড়ক পরিবহণের শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শেফায়েতুল আলম বাবু, সিনিয়র সহ সভাপতি মোহাম্মদ নুরুন্নবী নুরু, সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন, রোড কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সম্পাদক ছিব্বির আহমদ, আবু শামা ও জসিম উদ্দিন। পরে ঘটনাস্থল থেকে আহত শ্রমিক সভাপতিকে উদ্ধার করে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহত শ্রমিক নেতা আলমগীর ও উপস্থিত শ্রমিক নেতৃবৃন্দ অভিযোগ তুলেছেন, চকরিয়া পৌর টার্মিনাল এলাকায় সংগঠনের নতুন কার্যালয় স্থাপন করতে চেষ্ঠা করলে অনেক আগে থেকে লামা শ্রমিক পরিবহণ এসোসিয়েশনের সভাপতি রফিক আহমদের নেতৃত্বে একটি চক্র মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে আসছিলো। তাদের দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দিয়ে নতুন কার্যালয় খুলতে গেলে সর্বশেষ শুক্রবার সকালে অভিযুক্তরা পরিকল্পিতভাবে এ হামলার ঘটনা ঘটন।
শ্রমিক নেতার ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে জেলা সভাপতি শেফায়েতুল আলম বাবুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেনের সঞ্চালনায় তাৎক্ষনিক জরুরী সভা অনুষ্টিত হয়েছে। সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দরা বক্তব্যে হামলার ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতারে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন। একই সাথে আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেফতার করা না গেলে তাঁরা সড়ক অবরোধ সহ বিভিন্ন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে বলে হুশিয়ারি দেন। এ ঘটনায় থানার মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন উপস্থিত শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।