চকরিয়ায় পুলিশের অভিযানে বসতঘরে হামলা ও গৃহবধুকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় থানায় দায়ের করা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মো: আলমগীরকে ৪ মাস পর গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের বহদ্দারকাটা স্টেশন থেকে এএসআই আবদুর রাজ্জাকসহ পুলিশের একটিদল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেন। আলমগীর ওই এলাকার মৃত সামসুল হক সিকদারের ছেলে।
চলতিবছরের ২৩ ফেব্রুয়ারী চকরিয়া থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে বাদি বিএমচর ইউনিয়নের উত্তর বহদ্দারকাটা গ্রামের রফিউল কাদেরের স্ত্রী রোকশানা বেগম (৩৮) জানান, স্বামীর পৈত্রিক বসতবাড়িতে পরিবার নিয়ে তাঁরা শান্তিপুর্ণভাবে বসবাস করলেও এলাকার কিছু দখলবাজ প্রকৃতির লোক তাঁর পরিবারকে উচ্ছেদের জন্য নানাভাবে অপচেষ্ঠা চালাতে শুরু করে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আসামি আলমগীর, সহযোগি রুবেল, আবুল কালাম, জন্নাতুল ফেরদৌছ ও ছকিনা খাতুনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন।
বাদি রোকশানা বেগম দাবি করেন, আদালতে মামলা দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত আসামি ১৭ ফেব্রুয়ারী বিকালে তাঁর বসতঘরে ঢুকে হামলা করে। এসময় তাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্ঠা করা হলেও অল্পের জন্য তিনি রক্ষা পান। কিন্তু ওইসময় তাঁর হাতের আঙ্গুল কেটে যায়। ঘটনার সময় হামলাকারীরা তাঁর বাড়ি থেকে স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল সেটসহ প্রায় ৭০ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে। ঘটনার পর পরিবার সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর তিনি সুস্থ হয়ে ২৩ ফেব্রুয়ারী থানায় বাদি হয়ে হামলাকারী আলমগীরসহ ৫জনের নাম উল্লেখ্য করে আরো ৪-৫জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে একটি মামলা (নং ৫৬) দায়ের করেন।
মামলার বাদি রোকশানা বেগম জানান, তদন্ত শেষে থানা পুলিশ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন। এরপর আদালত আসামি আলমগীরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। প্রায় ৪ মাস পলাতক থাকার পর বৃহস্পতিবার পুলিশের একটিদল উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের বহদ্দারকাটা স্টেশন থেকে আসামি আলমগীরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।