কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাছ বিক্রির টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে স্বামী-স্ত্রীকে পিটিয়ে নগদ দেড়লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর তাদেরকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার রাত সাতটার দিকে উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ভান্ডারীডেবা এলাকায় ঘটেছে হামলা ও টাকা লুটের এ ঘটনা।
চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হারবাং ইউনিয়নের দুদু মিয়া (৪৭) জানান, বাড়ির পাশে তিনি দুটি পুকুরে পদ্ধতির মাছ চাষ করছেন। সোমবার সন্ধ্যার দিকে লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ ষ্টেশন থেকে মাছ বিক্রির দেড়লাখ টাকা নিয়ে তিনি স্ত্রী রাবিয়া বেগমকে (৪০) সাথে নিয়ে গাড়িতে করে বাড়ি ফিরছিলেন। রাত আনুমানিক সাতটার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের হারবাং ফরেস্ট অফিসের অদুরে ভান্ডারীডেবা এলাকায় তাঁরা গাড়ি থেকে নেমে হেটে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। দুদুমিয়া অভিযোগ করেন, কিছুদুর যাওয়ার পর তাদেরকে সামনে এসে পথরোধ করেন একই এলাকার মোক্তার আহমদের ছেলে আবদুল খালেক প্রকাশ পুতু, গোলাম কাদেরের ছেলে বাদশা মিয়া ও মোক্তারের ছেলে আবদুল মালেকসহ আরো কয়েকজন। এসময় তাদেরকে ছুরি দেখিয়ে প্রাণে হত্যার ভয় দেখানো হয়। এক পর্যায়ে তাঁরা জোরপুর্বক মাছ বিক্রির টাকা গুলো কেড়ে নিতে চেষ্টা করে। ঘটনার সময় স্বামী-স্ত্রী মিলে তাদেরকে বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করলে অভিযুক্তরা তাদেরকে লোহার রড ও কাঠের বাট দিয়ে পিটিয়ে মাটিতে ফেলে দেন। এরপর দুদু মিয়ার কাছ থেকে মাছ বিক্রির দেড়লাখ টাকা ও একটি মোবাইল সেট এবং তার স্ত্রীর কাছ থেকে নগদ ১২হাজার টাকা লুটে নিয়ে তাঁরা পালিয়ে যায়।
আহত মৎস্য চাষী দুদু মিয়া জানান, ঘটনার পর স্বজনদের মাধ্যমে ঘটনাস্থল থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে সোমবার সকালে চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি স্থানীয় হারবাং ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলামকে অবগত করেছেন। এব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী দুদু মিয়া।
চকরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো.কামরুল আজম বলেন, স্বামী-স্ত্রীকে মারধর করে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় থানায় এ ধরণের কোন অভিযোগ দেয়া হয়নি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।