২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারী ঢাকার বিডিআর দরবার হল পিলখানায় নারকীয় হত্যাযজ্ঞে শহীদ কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার ৪নম্বর ওয়ার্ডের ভরামুহুরী গ্রামের কৃতি সন্তান শহীদ লে. কর্নেল আবু মুছা মো. আইয়ুব কাইছার স্বরণে শনিবার গ্রামের বাড়িতে নানা ধর্মীয় অনুষ্টানের আয়োজন করা হয়। এদিন সকালে বাড়িতে খতমে কোরান, মিলাদ মাহফিল, দু:স্থদের মাঝে খাবার বিতরণ, বিকেলে সামাজিক মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত হয়। মসজিদে দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন মরহুমের মেজভাই মাওলানা মোক্তার আহমদ। এতে মোনাজাত পরিচালনা করেন আমজাদিয়া রফিকুল উলুম মাদরাসার শিক্ষক পীরে কামেল আ.ক.ম ছাদেক। মাহফিলে অতিথি ছিলেন থানা সেন্টার মসজিদের খতিব ও সাহারবিল আনোয়ারুল উলুম মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা রুহুল কুদ্দুছ আনোয়ারী। পরিবারের পক্ষ থেকে মিলাদ মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন মরহুমের বড়ভাই প্রকৌশলী জহুরুল মাওলা, সেজভাই মো.এনামুল হক এবং আত্মীয় স্বজন।
পিলখানা ট্রাজেডির পর থেকে পরিবার সদস্যরা প্রতিবছরই প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানিয়ে আসছেন কক্সবাজার বিমানবন্দরকে কর্ণেল আইয়ুব কাইছারের নামে ঘোষনা দেয়ার জন্য। কিন্তু তাদের এই দাবি বারবার উপেক্ষিত থাকছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আইয়ুব কাইছারের বড়ভাই প্রকৌশলী আলহাজ মো.জহুরুল মওলা ও সেজভাই মো.এনামুল হক।
তাঁরা আট বছরের আগের এ নারকীয় ঘটনাকে সেনা হত্যা দিবস এবং বিডিআর দরবার হলকে শহীদ যাদুঘর হিসেবে ঘোষনাও দাবি জানান। পাশাপাশি চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে আইয়ুব কাইছারের স্মৃতি রক্ষার্থে পৌরসভার ৪নম্বর ওয়ার্ডের সবুজবাগ-থানা সেন্টার সড়কটি তাঁর নামে নাম করণের জন্য ইতিবাচক ভুমিকা প্রত্যাশা করেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।