চকরিয়া উপজেলার মাতামুহুরী নদীর বাঘগুজারা ড্যামের রাবার মেরামতের একমাস পর সোমবার দুপুরে আবারও ছিঁেড় গেছে। এর আগে দুই দফায় ড্যামটির রাবার ছিঁড়ে যায়। গতমাসের শেষ সপ্তাহে এটি মেরামত করা হয়। তারপর নদীতে মিঠাপানি আটকিয়ে চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার লক্ষাধিক কৃষকের সেচ সুবিধা নিশ্চিত করা হয়। গতকাল ফের ড্যামের রাবার ছিঁেড় যাওয়ার কারনে এখন কৃষকের মিঠাপানির সেচ সুবিধা অনিশ্চতা দেখা দিয়েছে।
কোণাখালী ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার বলেন, ড্যামটি নির্মানের সময় ব্যাপক অনিয়মের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। নিন্মমানের কাজ করার ফলে বারবার ড্যামের রাবার ছিঁেড় যাচ্ছে। ছিড়ে যাওয়ার পর ড্যামের ওপর দিয়ে এখন সামুদ্রিক জোয়ারের লবন পানি ঢুকছে।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড চকরিয়া শাখা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বলেন, সোমবার দুপুরে মাতামুহুরী নদীতে জোয়ারের প্রবল চাপে ড্যামের রাবার ছিঁড়ে গেছে। ঘটনাটি তাৎক্ষনিক উর্ধর্বতন প্রশাসনকে জানানো হয়েছে একই সাথে ড্যাম থেকে পানি নামিয়ে ফেলতে সুপারভাইজারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ওয়েস্টান ইঞ্জিনিয়ারিং নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্টান ৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে গত ২০০৫-০৬ অর্থবছর মাতামুহুরী নদীর বাঘগুজারা পয়েন্টে এ রাবার ড্যামটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। বিগত ২০১২-১৩ অর্থবছরে এটি কাজ সমাপ্ত হলে ২০১৩ সালের ১১ মে তৎকালিন পানি সম্পদ মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন ড্যামটির উদ্বোধন করেন। এরপর চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার কৃষকরা নদীর মিঠাপানির সেচ সুবিধা নিয়ে অন্তত ৬০হাজার একর জমিতে নিরাপদে শুরু করেন চাষাবাদ।
চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.আতিক উল্লাহ বলেন, মাতামুহুরী নদীর মিঠাপানির ওপর নির্ভর করে প্রতিবছর চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার কৃষকরা চাষাবাদ করে থাকেন। চলতি মৌসুমে এবারসহ তিনদফা রাবার ছিঁেড় যাওয়ার ঘটনায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তবে এ মুহুর্তে কৃষকের পর্যাপ্ত সেচ সুবিধার তেমন প্রয়োজন নেই।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, বারবার ড্যামের রাবার ছিঁেড় যাওয়ার ঘটনায় পাউবো’র ডিজাইন সার্কেলের এক প্রকৌশলী সরেজমিনে ড্যাম এলাকা পরির্দশন করেছেন। দ্রুত সময়ে তিনি এব্যাপারে মতামত দেবেন। এরপরই ড্যামের মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।