২৫ নভেম্বর, ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি

চকরিয়ায় স্কুল শিক্ষার্থী পালিয়ে বিয়ের চেষ্ঠা: পুলিশের হাতে আটক

ফাইল ছবি

এম.জিয়াবুল হক,(চকরিয়া): চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ছোটভেওলা গ্রামের গিয়াস উদ্দিন ছেলে রুহুল কাদের রানা (১৭)। লেখাপড়া করেন চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠের দশম শ্রেণীতে। একই গ্রামের বাসিন্দা আবুল খাইয়েরর মেয়ে (১৫) চকরিয়া শহরের সরকারি একটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়েন একই ক্লাসে। একই গ্রামের বাসিন্দা আবার প্রতিদিন বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার পথে দুইজনের মধ্যে ঘনিষ্টতা শুরু। সেই থেকে শুরু ভাললাগা। এরপর প্রেম।
জানা গেছে, প্রেমের সর্ম্পক থেকেই তাঁরা চলতিবছর ২০১৭ সালে অন্তত তিনবার বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করতে প্রস্ততিও নিয়েছেন। কিন্তু দুইজনই নাবালিকা হওয়ার কারনে কাজী অফিসের সংশ্লিষ্টদের ইশারায় প্রতিবারই নিকট স্বজন, কিংবা উৎসুক জনতা আবার বেরসিক পুলিশের হাতে আটক হয়ে ফের নিজেদের বাড়িতে ফিরে আসতে হয়েছে।
সর্বশেষ সোমবার (২৩ অক্টোবর) রাতে পেকুয়া উপজেলার বাঘগুজারা স্টেশনে কাজী অফিসে পালিয়ে বিয়ে করতে গিয়ে ফের পেকুয়া থানা পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে স্কুল শিক্ষার্থী এই প্রেমিক যুগল। পরদিন সকালে তাদেরকে চকরিয়া থানায় পাঠানো হয়। এ ঘটনায় মেয়েটি মা আয়েশা বেগম বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে থানায় একটি মামলা রুজু করেন। মামলায় বিবাদি করা হয় মেয়ের প্রেমিক শিক্ষার্থী রুহুল কাদের রানাকে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও চকরিয়া থানার এসআই সুকান্ত চৌধুরী বলেন, আমরা চেষ্ঠা করেছি ছেলে এবং মেয়েটি এখনো নাবালক। তাই আইনীভাবে এখনও তাদের বিয়ের বয়স হয়নি। আবার মেয়েটি তাঁর মা-বাবার হেফাজতে যেতেও রাজি নন। পরে মামলার প্রেক্ষিতে দুইজনকে গতকাল দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
চকরিয়া আদালতের সিএসআই (পুলিশ পরিদর্শক) মোহাম্মদ নাজমুল হক কামাল বলেন, শিক্ষার্থী প্রেমিক যুগলকে আদালতে নেয়ার পর মামলার শুনানী করেন আদালতের বিচারক। শুনানী শেষে আদালতের বিচারক প্রেমিক রুহুল আমিন রানাকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে ও প্রেমিকা ওই শিক্ষার্থীকে চট্টগ্রামের হাটহাজারীস্থ সেইভহোমে (সরকারি শিশু কিশোর পুর্নবাসন সেন্টার) পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো.এনামুল হক বলেন, আমার জানা মতে ওই ছেলে-মেয়ে এবারসহ তিনবার বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করতে চেষ্ঠা করে। কিন্তু দুইজনই নাবালিকা হওয়ার কারনে প্রতিবারই নিকট স্বজন, কিংবা উৎসুক জনতা আবার বেরসিক পুলিশের হাতে আটক হয়ে ফের নিজেদের বাড়িতে ফিরে আসতে হয়েছে। তিনি বলেন, অবশ্য এরআগেও একবার চকরিয়া থানায় দুইজনের প্রেমের বিষয় নিয়ে বৈঠক হয়েছিল।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।