চকরিয়া থানার অদুরে প্রায় ৫মাস আগে রাতের আঁধারে খুন হওয়া আবদুল মজিদ ওরপে মজিদ বলি হত্যাকান্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলার দৃশ্যমান অগ্রগতি হচ্ছেনা বলে অভিযোগ তুলেছেন নিহতের পরিবার। ঘটনার পর প্রায় পাঁচমাস সময় অতিবাহিত হলেও পুলিশ এখনো মামলার এজাহারনামীয় কোন আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এ অবস্থার কারনে মামলার বাদি ও নিহতের পরিবারের মাঝে মামলাটির ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে।
মামলার বাদি নিহতের ছেলে মিজানুর রহমান বাবুল জানিয়েছেন, ২০১৬ সালের ৪ অক্টোবর দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টার দিকে থানার অদুরে বাটাখালী ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় মুঠোফোনে ঢেকে নিয়ে তাঁর বাবা আলহাজ আবদুল মজিদ বলিকে গলাটিয়ে হত্যা করে। তিনি দাবি করেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কতিপয় ব্যক্তিরা রাতে বাড়ি থেকে ফোনে ঢেকে নিয়ে সেখানে তার বাবাকে খুন করে।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মিজানুর রহমান বাবুল বাদী হয়ে পরদিন ৫ অক্টোবর চকরিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন চকরিয়া পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড কাহারিয়াঘোনা এলাকার মৃত সিরাজ আহমদের ছেলে গোলাম মোস্তফা ওরপে বদি আলম, খন্দকার পাড়া এলাকার নুরুল আজিমের ছেলে নয়ন চৌধুরী, গোলাম মোস্তফার ছেলে রমিজ উদ্দিন, আকবর আহমদের ছেলে হাফেজ আমান উল্লাহ, মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে শহিদুল আলম, মৃত বদি উদ্দিনের ছেলে কামাল উদ্দিন, মৃত লাল মিয়ার ছেলে নুরুল আবচার প্রকাশ গুরা মিয়া, কবির আহমদ প্রকাশ ছৈয়দ কবিরের ছেলে মোঃ নুরুকে
বাদি মিজানুর রহমান বাবুল অভিযোগ করেছেন, ঘটনার পর প্রায় ৫মাস সময় অতিবাহিত হলেও এখনো মামলার দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। এমনকি মামলার এজাহারনামীয় কোন আসামিকে গ্রেফতারও করতে পারেনি পুলিশ।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, নিহত আবদুল মজিদ বলী দীর্ঘদিন ধরে চকরিয়া পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড ভরামুহুরী এলাকার প্রবাসী নুরুল হোছাইনের জমি জমা ও বাগান রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। ঘটনার সময় তিনি ওই প্রবাসীর কেনা বাটাখালী সেতু এলাকার জায়গা দেখভাল করছিলেন। মুলত ওই জায়গার বিরোধের জেরে কতিপয় মহল তাকে ডেকে নিয়ে গলাটিপে খুন করেন। এদিকে মামলার এজাহারনামীয় আসামিদের অবিলম্বে গ্রেফতারে থানার নবাগত ওসির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মামলাটির মিজানুর রহমান বাবুল ও তাঁর শোকাহত পরিবার।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।