কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় ইউনিয়ন বদরখালী মহেশখালী নৌ-চ্যানেলে নদী ঘেষে গড়ে উঠা কাঁকড়া চাষ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। সারি সারি কাঁকড়া চাষের ঘের তৈরি করা হয়েছে এখানে। সাগর ও নদী বেষ্টিত এই উপকূলীয় অঞ্চলে রয়েছে এর বিশাল ভান্ডার।
একাধিক সূত্র মতে, জেলার উপকুলবতী এলাকা হিসাবে সু-পরিচিত চকরিয়ার বদরখালী ও মহেশখালীর কালারমারছড়ার ২’শতাধিক মানুষ সম্ভাবনাময় এ পেশাকে জীবিকা নির্বাহের একমাত্র মাধ্যম হিসাবে বেচে নিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারী পৃষ্টপোষকতা এবং অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করা গেলে সম্ভাবনাময় এই কাঁকড়া চাষের খাত থেকে প্রতি বছর হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভাব। প্রয়োজনীয় উদ্যোগ ও আধুনিক পদ্ধতিতে কাঁকড়া চাষ সম্পর্কে চাষীদের হাতে কলমে প্রশিক্ষন প্রদান করা গেলে এটি হয়ে উঠতে পারে দারিদ্র বিমোচনের একটি শক্তিশালী খাত।
জানা গেছে, উপকুলীয় অঞ্চল সমূহের চিংড়ি ঘের, নদীর মোহনা ও সমুদ্রের আশপাশের এলাকা থেকে প্রাকৃতিক ভাবে বেড়ে উঠা কাঁকড়া সংগ্রহ করে থাকেন তারা। বর্তমানে বানিজ্যিক ভিত্তিতেও চকরিয়ার বহু স্থানে কাঁকড়া চাষ করা হচ্ছে। এদিকে ২/১ জন কাঁকড়া ব্যবসায়ীদের মতে, তৃণমূল আহরণকারীদের নিকট হতে ওজন ভেদে প্রতি কেজি দু’শত থেকে চারশত টাকা দরে ক্রয়ের পর সেগুলো চট্টগ্রামের রপ্তানিকারকদের নিকট তিনশ থেকে ছয়শত টাকা দরে তারা বিক্রি করে থাকেন। এরপর রপ্তানি কারককেরা সেগুলোকে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে থাকেন।
অন্যদিকে স্বল্প পুঁজি ও অল্প পরিশ্রমে অধিক লাভবান হওয়া যায় বলে উপকুলীয় এলাকা সমূহে কাঁকড়া চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বলে জানালেন বদরখালী কাঁকড়া ব্যবসায়ী তরুণ ছাত্র নেতা আ.ন.ম হেফাজ সিকদার। এছাড়াও নতুন শর্তে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করা গেলে নতুন নতুন অনাবাদি ও পরিত্যাক্ত জমি কাঁকড়া চাষের আওতায় আনা সম্ভব হত।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।