নগরের সাগরিকা এলাকা থেকে বিয়ের ভাড়া আছে জানিয়ে লেগুনা চালক নাজমুলকে কৌশলে অপহরণ করে মদুনাঘাট এলাকায় নিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আসামি ইমনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) র্যাবের পক্ষ থেকে তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি জানানো হয়।
আসামি ইমনকে টেকনাফের সেন্টমার্টিন এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব-৭ এর একটি টিম।
র্যাব-৭ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. মাহমুদুল হাসান মামুন জানান, লেগুনা চালক নাজমুল হত্যা মামলার পলাতক আসামি ইমনকে সেন্টমার্টিন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ৭ নভেম্বর লেগুনা চালক নাজমুল সাগরিকা এলাকা থেকে মদুনাঘাট এলাকায় গিয়ে অপহরণ শিকার হয়েছিলেন। নাজমুলের খোঁজ না পেয়ে তার পরিবার পাহাড়তলী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে।
পরে নাজমুলের পরিবারের কাছে ফোন করে ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। নাজমুলের পরিবার বিষয়টি র্যাব-৭ কে জানালে র্যাব তদন্তে নেমে সন্দেহভাজন হিসেবে রাজুকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে রাজু।
১০ নভেম্বর সকালে হাটহাজারী থানাধীন অনন্যা আবাসিকের পেছনে চন্দ্রাবিল থেকে নাজমুলের মরদেহ উদ্ধার করে র্যাব সদস্যরা। নিহত লেগুনা চালক নাজমুল গোপালগঞ্জ জেলার ব্রাহ্মণডাঙ্গা এলাকার মজনু শেখের ছেলে বলে জানা গেছে।
র্যাব জানিয়েছিল, নাজমুলকে কৌশলে অপহরণ করা হয়েছিল। একপর্যায়ে তারা নাজমুলকে হত্যা করে। মদুনাঘাট চন্দ্রবিল এলাকায় খুন করার পর নাজমুলের গাড়িটি অপহরণকারীরা চালিয়ে নিয়ে বোয়ালখালীতে সড়কের পাশে রেখে দেয়। পরে নাজমুলের পরিবারের কাছে ফোন করে ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।