৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২ জমাদিউস সানি, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  গলায় ওড়না পেঁচিয়ে উখিয়া ডিগ্রি কলেজের ছাত্রী’র আত্নহত্যা   ●  যারা ক্লাসে ৭০% উপস্থিত থাকবে না তাদের পরিক্ষায় অংশগ্রহন করতে দেওয়া হবে না- শাহাজাহান চৌধুরী   ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার

চট্রগ্রামে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উদযাপিত

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২৩ যথাযোগ্য মর্যাদায় উপযাপনের লক্ষ্যে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ বিভিন্ন কর্মসূচী আয়োজন করেছে। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সকাল ৯.০০ টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস থেকে শিল্পকলা একাডেমি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত শোক র‌্যালিতে চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরীর নেতৃত্বে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন। সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পন করেন। অতঃপর ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু পুত্র শেখ
রাসেলসহ জঘন্যতম হত্যাকান্ডে নিহত সকলের পূন্যস্মৃতি স্মরণে এবং সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে পবিত্র খতমে কোরান, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল পরিচালনা করা হয়।

দোয়া মাহফিল পরবর্তী এক আলোচনা সভা সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও জেলা স্বাস্থ্য তত্তাবধায়ক, সুজন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ ওয়াজেদ চৌধুরী অভি অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এমও সিএস ডাঃ মোহাম্মদ নওশাদ খান, মেডিকেল অফিসার কো-অডিনেশন ডাঃ মোহাম্মদ নুরুল হায়দার, বক্ষ ব্যাধি ক্লিনিকের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ মোস্তফা নুর মোরশেদ, মেডিকেল অফিসার (য²া নিয়ন্ত্রণ) ডাঃ আবদুল্লাহ-হির-রাফি অঝোর, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা থোয়াইনু মং মারমা, জেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর মো. মশিহুর রহমান দেওয়ান, প্রধান সহকারী এস এম সাহেদুল ইসলাম, হিসাব রক্ষক নুরুল ইসলাম, স্টোর ইনচার্জ জাহেদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষাবিদ কাজী মাসুদুল আলম, স্যানিটারী ইন্সপেক্টর টিটুু কান্তি পাল, স্বাস্থ্য শিক্ষাবিদ প্রবীর মিত্র, স্বাস্থ্য পরিদর্শক রীনা ভট্টাচার্য্য, স্বাস্থ্য পরিদর্শক শক্তি বডুয়া প্রমূখ।

সভাপতির বক্তব্যে সিভিল সার্জন বলেন ৪৮ বছর আগে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট স্বাধীন বাংলার স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক, বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্য কে দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীদের মদদে এদেশের কিছু দুর্বৃত্তরা নিঃসংশ ভাবে হত্যা করে। পরিকল্পনাটা ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে সবংশ নিচিহ্ন করা এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে লোপাট করা। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোকের দিন। বাংলার আকাশ-বাতাস আর প্রকৃতিও অশ্রæসিক্ত হওয়ার দিন। কেননা পঁচাত্তরের এই দিনে আগস্ট আর শ্রাবণ মিলেমিশে একাকার হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর রক্ত আর আকাশের মর্মছেঁড়া অশ্রæর প্লাবনে। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সুবেহ সাদিকের সময় যখন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে নিজ বাসভবনে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে বুলেটের বৃষ্টিতে ঘাতকরা ঝঁঝরা করে দিয়েছিল, তখন যে বৃষ্টি ঝরছিল, তা যেন ছিল প্রকৃতিরই অশ্রæপাত। ভেজা বাতাস কেঁদেছে সমগ্র বাংলায়। ঘাতকদের উদ্যত অস্ত্রের সামনে ভীতস¤্রস্ত বাংলাদেশ বিহব্বল হয়ে পড়েছিল শোকে আর অভাবিত ঘটনার আকস্মিকতায়। সেদিন রেহাই পায়নি বঙ্গবন্ধুর শিশু পুত্র শেখ রাসেল এবং নববিবাহিত পুত্রবধূরাও। এদিন ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিছেন বঙ্গবন্ধু সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশুপুত্র শেখ রাসেলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ঘনিষ্ঠজন। প্রতি বছর দিনটি আসে বাঙালির হৃদয়ে শোকে আর কষ্টের দীর্ঘশ্বাস হয়ে। পুরো জাতি আজ গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানকে স্মরণ করছে। মহান আল্লাহ যেন তাদের সকলকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান দান করেন। আলোচনা সভায় সিভিল সার্জন কার্যালয়সহ নিয়ন্ত্রণাধীন নয়টি আরবান ডিসপেনসারী, স্কুল হেলথ এবং বক্ষ ব্যাধি ক্লিনিকের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণ করেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।