বিশেষ প্রতিবেদকঃ প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে রাষ্ট্রয়ী ভাবে পুলিশ সপ্তাহে বিপিএম পুরস্কার পাওয়ার পর এবার চট্রগ্রাম রেঞ্জের শ্রেষ্টত্ব ওসির সম্মাননা পেলেন সীমান্ত শহর টেকনাফ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।
চট্রগ্রাম রেঞ্জের পুলিশের মাসিক ক্রাইম কনফারেন্সে থানায় সর্বোচ্চ মাদক উদ্ধার, অস্ত্র উদ্ধার, ওয়ারেন্ট তামিল, মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার ও সর্বোপরি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সাফল্য জনক ভূমিকা রাখায় চট্রগ্রাম রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ থানার অফিসার ইনচার্জের সম্মাননা পেলেন টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ। রেঞ্জ ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম তাকে এই সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। এসময় কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
২০১৮ সালের ১৯ অক্টোবর টেকনাফ মডেল থানায় যোগদান করেন করেন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ
তিনি যোগদানে পর টেকনাফকে মাদকমুক্ত করবেন বলে জোরালো ভাবে ঘোষনা দিয়েছিলেন। যেমন কথা তেমন কাজ। যোগদানের প্রায় তিন মাসে বন্দুকযুদ্ধে ৩০ জনের অধিক ইয়াবাকারবারি নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় বিপুল পরিমান ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
টেকনাফ থানায় যোগ দেওয়ার পূর্বে তিনি কক্সবাজার জেলার মহেশখালি থানা, উখিয়া থানা, কক্সবাজার সদর মডেল থানা, চট্টগ্রামের পতেঙ্গা, পাঁচলাইশ, ও বায়েজিদ বোস্তামি থানায় কর্মরত ছিলেন।
১৯৯৬ সালে চাকুরীতে যোগদান করা এই পুলিশ কর্মকর্তা চাকুরীজীবনে দুইবার পুলিশ বিভাগের সর্বোচ্চ সম্মাননা পুরস্কার পিপিএম পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে তিনি ওই পুরস্কার গ্রহন করেন। তিনি আইজিপি ব্যাচ পেয়েছেন দুই বার। পেয়েছেন জাতীয় শান্তি রক্ষা পদকও।
এছাড়াও ওসি প্রদীপ কুমার দাশ উখিয়া থানায় কর্মরত থাকাকালে কমিউনিটি পুলিশিং সক্রিয় করার জন্য তৎকালীন আইজিপি নুর মোহাম্মদের কাছে পুরস্কৃত হয়েছেন। এই পুলিশ কর্মকর্তার বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে।
২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ওসি প্রদীপ কুমার দাশ কক্সবাজারের মহেশখালি থানায় যোগদান করেন। তিনি যোগদানে ২০ মাসে মহেশখালিতে আইনশৃংখলার আমূল পরিবর্তন এসেছে। স্বস্তি ফিরেছে সন্ত্রাসী জনপদ মহেশখালিতে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।