এম.জিয়াবুল হক,(চকরিয়া): চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের চরণদ্বীপ ভূমিহীন কৃষি সমবায় সমিতি লিমিডেটের কমিটির মেয়াদত্তীর্ণ হওয়ায় পাঁচ সদস্যের অর্ন্তবর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন জেলা সমবায় অফিসার। গত ২২ অক্টোবর জেলা সমবায় অফিসার আবদুল লতিফ উক্ত কমিটি অনুমোদন দেন। অভিযোগ উঠেছে, পূর্বের কমিটি অনেকটা প্রভাব বিস্তার করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে নানাভাবে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। এ ঘটনায় দ্পুক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ও পদ দখলে রাখার ঘটনায় সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে সমিতির সদস্যদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
অভিযোগে জানা গেছে, চরণদ্বীপ ভূমিহীন কৃষি সমবায় সমিতির কমিটির মেয়াদ সম্প্রতি শেষ হয়ে গেছে। এনিয়ে উপজেলা সমবায় অফিসার গত ১৮ অক্টোবর স্মারকমূলে নতুন অর্ন্তবর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের লক্ষ্যে সমবায় সমিতি আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা মোতাবেক জেলা সমবায় অফিসার কক্সবাজার বরাবরে পত্র প্রেরণ করেন।
এরই পেক্ষিতে জেলা সমবায় অফিসার, অফিস আদেশমূলে সমিতির ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি অর্ন্তবর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি নিয়োগ প্রদান করেন। কমিটিতে সভাপতি করা হয়েছে মোহাম্মদ ইউনুছ পিতা মরহুম একরাম আলী এবং সদস্য করা হয়েছে শওকত ওসমান পিতা মৃত মোজাম্মেল হক, আবদুল হাফেজ পিতা মৃত আকবর আহমদ, ছব্বির আহমদ পিতা মৃত ইসহাক আহমদ ও জাফর উদ্দিন পিতা মরহুম হাজী আহমদ কবিরকে। নিয়োগকৃত কমিটির নিকট পুর্বের মেয়াদত্তীর্ণ কমিটিকে দায়িত্ব হস্তান্তর করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অনুমোদনকৃত কমিটির নেতৃবৃন্দরা অভিযোগ করেন, গত ২২ অক্টোবর হতে ৩০ অক্টোবর পযর্ন্ত ৯দিন সময় অতিবাহিত হলেও নতুন কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেনি পূর্বের মেয়াদত্তীর্ণ কমিটি। এমনকি বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে পূর্বের কমিটির সভাপতি আশরফ আলী ও সম্পাদক নুরুল আমিন। এই মুহুর্তে পূর্বের কমিটির দায়িত্বে থাকা আইনী কোন বৈধতা নাই।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, চরণদ্বীপ ভূমিহীন কৃষি সমবায় সমিতি লি: প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৭৭ সনে। সমিতিতে বর্তমানে সদস্য সংখ্যা রয়েছে ৬৯৫ জন। সমিতির নামে চরণদ্বীপ মৌজায় প্রায় ৪৪০ একর ভূমি (জমি) রয়েছে। এসব জমি সমিতির সদস্যদের নামে বন্দোবস্তি রয়েছে এবং শান্তিপূর্ণ ভোগ দখলেও রয়েছেন। মূলত সমিতির অর্থ,স্বার্থ,জমি-জমা অবৈধভাবে ভোগ দখলে রাখতে কিছু অসাধু ও দুর্নীতি পরায়ন ব্যক্তিদের ইন্ধনে মেয়াদত্তীর্ণ পূর্বের কমিটির সভাপতি আশরফ আলী ও সম্পাদক নুরুল আমিন নিজেদের ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রাখতে নতুন কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করছেনা। এদিকে নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চকরিয়া ও জেলা সমবায় অফিসার কক্সবাজারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
কক্সবাজার জেলা সমবায় অফিসার মো: আবদুল লতিফ জানিয়েছেন, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা চকরিয়ার দপ্তর থেকে নতুন কমিটি গঠনের বিষয়ে পত্র পাওয়ার পর তা যাছাই-বাছাই করে ৫সদস্য বিশিষ্ট নতুন অর্ন্তবর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি নিয়োগ দিয়েছেন। নিয়মানুযায়ী নতুন কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর না করলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।