২৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক চোরা চালানের গডফাদার ফরিদ ফের সক্রিয়

চাকরি হারানোর শঙ্কায় গ্রামীণফোনের ৬০০ কর্মী

অনলাইন ডেস্কঃ সমাবেশের একাংশমোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোনের প্রযুক্তি শাখার ছয় শতাধিক কর্মী চাকরি হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন। গ্রামীণফোনের সদ্য ঘোষিত ‘কমন ডেলিভারি সেন্টার’ প্রকল্পের কারণে এই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আর আশঙ্কা থেকেই রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে প্রযুক্তি শাখার কর্মীরা শুক্রবার দিনভর প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন। সমাবেশে গ্রামীণফোনের পাঁচ শতাধিক কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

গ্রামীণফোনের দুটি ইউনিয়ন রয়েছে। একটি এম্লয়িজ ইউনিয়ন, অপরটি জেনারেল এম্লয়িজ ইউনিয়ন। সমাবেশে দুই ইউনিয়নের সদস্যরা উপস্থিত হয়ে গ্রামীণফোনের নতুন উদ্যোগের বিরোধিতা করেন। সমাবেশে বক্তারা চাকরির নিশ্চয়তা এবং সিডিসি প্রকল্প বন্ধের ঘোষণা চান।
জানা গেছে, কমন ডেলিভারি সেন্টার (সিডিসি) প্রকল্প চালু হলে গ্রামীণফোনের টেকনোলজি টিমের (প্রযুক্তি শাখা) ছয় শতাধিক কর্মী চাকরি হারাবেন। বর্তমানে এই শাখায় ৬৫৪ জন কর্মী রয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেনারেল এম্লয়িজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত দাস খোকন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের প্রযুক্তি সেকশনের কর্মীদের চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। সিডিসি প্রকল্প চালু হলে প্রযুক্তি বিভাগের কর্মীরা চাকরি হারাবেন। আমরা গ্রামীণফোনে চাকরির নিশ্চয়তা চাই।’

তিনি জানান, গ্রামীণফোনের প্রযুক্তি সেকশন বন্ধ করে সেই দায়িত্ব এরিকসন, হুয়াওয়ের মতো কোনও কোনও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে দিতে চায়। ওইসব প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনকে প্রযুক্তিগত সেবা দেবে। আর এই সেবা নিলে গ্রামীণফোনের আর প্রযুক্তি শাখায় কোনও কর্মী রাখার প্রয়োজন হবে না। ফলে কর্মীদের চাকরি হারাতেই হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গ্রামীণফোন এক বিবৃতিতে জানায়, গ্রামীণফোনের অত্যাধুনিক নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনা এবং এ সম্পর্কিত প্রক্রিয়া উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন উপায় বিবেচনা করা হচ্ছে। আমাদের সর্বোন্নত নেটওয়ার্ক এবং সর্বোন্নত গ্রাহক সেবা নিশ্চিতকরণে এই উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই কৌশলগত উদ্যোগটি সব সময় পরিবর্তনশীল, বৈশ্বিক ব্যবসায় ধারণার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে এটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এর ফলে কর্মসংস্থানের ওপর প্রভাব পড়তে পারে এমন কোনও সিদ্ধান্তই গৃহীত হয়নি। গ্রামীণফোন সবসময়ই তার কর্মীদের প্রতি দায়িত্বশীল।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।