২৯ এপ্রিল, ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ, ১৪৩২ | ৩০ শাওয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল   ●  লুৎফুর রহমান কাজলের মা সাবেক এমপি সালেহা খানমের ইন্তেকাল করেছেন   ●  টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১   ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার

চিংড়ি মাছের ওজন বাড়াতে প্লাস্টিক ও জেল ব্যবহার করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা

ইমাম খাইর, কক্সবাজার

কক্সবাজার শহরের বড় বাজারে বাগদা চিংড়িতে প্লাস্টিক ও জেল (বিষ) মেশানোর অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।
মাছের দ্রুত পচন ঠেকাতে এবং ওজন বাড়াতে এমনটি করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এই কাজে জড়িত রয়েছে একটি সিন্ডিকেট।
শনিবার (৪ জুন) বিকেলে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন সহযোগী অধ্যাপক ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সহকারীর হাতে অভিনব জালিয়াতি ধরা পড়ে।
পরে অবশ্যই ওই মাছ ফেরত নেন এবং বিক্রিত মাছের বদলে অন্য মাছ দেন অভিযুক্ত ব্যবসায়ী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে চিকিৎসকের সহকারি জানান, বড়বাজার থেকে চিকিৎসকের জন্য ২ কেজি বাগদা চিংড়ি কিনেন। বাসায় গিয়ে দেখেন, ভেজাল। প্লাস্টিক ও জেল (বিষ) মেশানো হয়েছে চিংড়িতে।
তাৎক্ষণিক বিক্রেতার নিকট অভিযোগ নিয়ে গেলে মাছগুলো ফেরত নিয়ে ওই টাকার বদলে ভিন্ন জাতের ছোট মাছ দেন।
স্থানীয়দের প্রশ্ন, পর্যটন শহরের ব্যবসায়ীরা যদি এমন জালিয়াতি করে, মেনে নেওয়া যায়?
এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসন, ভোক্তা অধিকারসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সচেতন মহল।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বড়বাজার মৎস্য ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ছৈয়দ আকবর বলেন, আব্দুল খালেক নামক একজন ব্যক্তি মাছগুলো বিক্রি করেছে। তার বাড়ি কক্সবাজার শহরের বাদশা ঘোনা। অভিযোগ পাওয়ার পর তার মাছ বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমন প্রতারণামূলক ব্যবসা যারা করছে তাদের বাজারে মাছ বিক্রি করতে দেওয়া হবে না।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ জাহিদ ইকবাল বলেন, এমন কাজটি যারা করছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একটি সূত্র মারফত জানা গেছে, প্লাস্টিক ও জেল (বিষ) মিশ্রিত চিংড়ি মাছগুলো সাতক্ষীরা থেকে কক্সবাজারে আনছে অসাধু একটি চক্র।

সাগরে মাছধরা নিষিদ্ধের মৌসুমে সংকটের সুযোগে জালিয়াতির পথ অবলম্বন করে অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা।
একটি সিন্ডিকেট ফিশারিঘাট ও শহরের বড়বাজার কেন্দ্রিক রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা চায় ভোক্তারা।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।