ইমাম খাইর,
চাহিদার অর্ধেকেরও চিকিৎসক, নার্স ও সাপোর্টিং স্টাফ নেই। কোনমতে জোড়াতালি দিয়ে চলছে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে। জরুরী বিভাগটি উন্নত করা হলেও সরকারীভাবে রয়েছে মাত্র ৩ জন চিকিৎসক। ইনডোর-আউটডোরে তীব্র চাপ সামলে দৈনিক আড়াই হাজারের বেশী রোগির সেবা দেয়া হচ্ছে। বিভাগ, চাহিদা, রোগি বেড়েছে। কেবল বাড়েনি জনবল। ১০০ শয্যার জনবল দিয়ে চলছে ২৫০ শয্যার হাসপাতালটি। নানামুখী সমস্যায় সরকারী এই প্রতিষ্ঠানটি এখন যেন নিজেই রোগী।
হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, ১৩টি বিভাগের মধ্যে ৪০ বেডের শিশু ওয়ার্ডে দৈনিক অন্তত ১২০ জন ভর্তি থাকে। জরুরী বিভাগ বাদে প্রতিদিন অন্তত ৭০০ রোগি হাসপাতালে ভর্তি থাকে। প্রায় ৪৫ শতাংশ চিকিৎসকের পদ শূন্য। তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী প্রায় ৬৭ শতাংশ নেই। নার্সের পদ খালি ২৫টি। পুরো হাসপাতালে ৩৫ শতাংশেরও বেশী পদে শূন্যতা বিরাজ করছে। একটি ‘আরএমও‘ পদ খালি। অপারেশন বিভাগ, ল্যাবরেটরি, গাইনি, অর্থোপেডিক বিভাগে করুণ অবস্থা বিরাজ করছে। সিটের অভাবে মেঝেতে পড়ে থাকে রোগীরা। হাসপাতালে মোট ২৮৮টি সৃষ্ট পদের মধ্যে ১০১টি শূণ্য।
রোগি ও স্বজনদের অভিযোগ, কর্মরত ডাক্তারদের অনেকেই রোটেশন মানে না। ডিউটির সময়ে বাইরে ব্যস্ত থাকে। সরকারী দায়িত্ব পালনের চেয়ে বেসরকারী চেম্বারে তাদের ঝুঁক বেশি। চক্ষু বিভাগ অন্ধকারে, দন্ত বিভাগ চলছে অনেকটা দন্তহীনের মতো।
হাসপাতালের সুপার ডাঃ মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, হাসপাতালের অনেক গুণগত পরিবর্তন হয়েছে। সেবার মানও বেড়েছে। কিছু জায়গায় এখনো ত্রুটি রয়ে গেছে, তা আমরা কেটে ওঠার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, স্থানীয় রোগির পাশাপাশি ভিআইপি ও পর্যটকদের সেবা দিতে হয়। তার উপর রোহিঙ্গাদের চাপ তো আছেই। ২৫০ শয্যার হাসপাতালে নিয়মিত ২-৩ গুণ রোগি ভর্তি থাকে। কিন্তু সেই অনুপাতে ডাক্তার, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নেই। সব বিভাগের কাজ সামলাতে হিমশিম খেতে হয়। তবু আমরা জনবল সীমাবদ্ধতার মাঝেও সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।