সংবাদ বিজ্ঞপ্তি;
উখিয়ার প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী ফরিদ আহম্মদ চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ৩ মে ব্যাংকক এয়ারপোর্টে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুর ৩ দিন পর ৬ মে গত বছরের আজকের এই দিনে তাকে চৌধুরী পাড়ার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। মাত্র ৬৩ বছর বয়সে মরণব্যাধী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
ফরিদ আহম্মদ চৌধুরী ফুসফুসে ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার পর দেশে চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে গত বছরের ২৭ এপ্রিল ভারতের দিল্লীর পার্শ্ববর্তী হারিয়ানা প্রদেশে অবস্থিত পৃথিবীর অন্যতম চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান মেদান্তা হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. অশোক বেদ ও ডা. জয়তির তত্বাবধানে ৫ দিন আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়। ডাক্তাররা সর্বশেষ পরীক্ষানিরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ শেষে তার শারিরিক অবস্থার উন্নতির কোন সম্ভাবনা নেই জানিয়ে তাকে দ্রুত সময়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসার পরামর্শ দেন। ৩ মে দিল্লী থেকে ব্যাংকক হয়ে তাকে বাংলাদেশে নিয়ে আসার পথে ব্যাংকক এয়ারপোর্টে ৪টা ৪৫ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।
আজ প্রথম মৃত্যু বার্ষিকীতে বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতির কারণে খতমে কোরআন ও ঘরোয়া ভাবে ফাতেহা ছাড়া অন্য কোন আয়োজন রাখা হয়নি।
ব্যক্তিজীবনে ফরিদ আহম্মদ চৌধুরী সৎ, নিষ্ঠাবান, বন্ধুবৎসল ও অমায়িক লোক হিসাবে সবার কাছে সমান জনপ্রিয় ছিলেন। স্বনামখ্যাত চিত্রশিল্পী ফরিদ আহম্মদ চৌধুরী একজন মেধাবী সংগঠক ছিলেন। তিনি অবিভক্ত হলদিয়া ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের তিন মেয়াদে সভাপতিসহ দীর্ঘ ৩০ বছর সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় থেকে দায়িত্বপালন করেন। তিনি উখিয়া কোটবাজার খেলাঘর আসর ও উখিয়া আর্টক্লাবের প্রতিষ্ঠা সভাপতি। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন।
মৃত্যুকালে ফরিদ আহম্মদ চৌধুরী স্ত্রী, ৭ ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে যান।
পরিবারের পক্ষে মরহুমের মেঝ সন্তান সাংবাদিক রাসেল চৌধুরী মরহুম পিতার জন্য সকলের কাছে দোয়া কামনা করেছেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।