‘বিষয়টি খুব জটিল! এমনকি বিচারক চেয়ারম্যানও পড়ে বিপাকে! তবুও বিচারক ন্যায় বিচারের হাল ছেড়ে নিই! ‘গরু’র পিটে হাত বুলিয়ে বলল’ তুমি যার গরু, তার গোয়ালে যাবি! এই বলে শত শত জনতার সামনে বিচারক চেয়ারম্যান বিদায় দিলো একটি গরুকে!
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নে একটি গরুর দাবিদার দুই জন। একজন পেচারদ্বীপ এলাকার, অপর জন খুনিয়াপালং এলাকার। এই নিয়ে শুক্রবার চেয়ারম্যান আবদুল মাবুদ এর বাড়িতে একটি শালিশী বৈঠক হয়। ওই বৈঠক এ দুই পক্ষের শত শত লোকজন উপস্থিত হন। উভয় পক্ষের কথা শুনে চেয়ারম্যান বিচারের রায় দিতে পড়েন বিপাকে। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান গরুর দাবিদার দুই জনের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা করে ১০ হাজার টাকা জমা নেয়।
চেয়ারম্যান রায় দেন গরুর দাবিদার দুই জনের মধ্য স্থানে গরুটি ছেড়ে দেয়া হবে ‘যার গোয়ালে’ গরুটি চলে সেই গরু ও ১০ হাজার টাকা পাবে!
চেয়ারম্যানের এই রায় মেনে নেয় উভয়পক্ষ। এমনকি ‘গরুর পিটে হাত বুলিয়ে দিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, যার গরু তার গোয়ালে যাবি! শত শত লোকজনের উপস্থিতিতে গরুটি দুই জনের মধ্য স্থানে ছেড়ে দেয়া হয়। প্রকৃত মালিকের গোয়ালে গরুটি যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে জানা গেছে।
চেয়ারম্যান আবদুল মাবুদের এই রকম বিচারের রায়কে সকলেই স্বাগতম জানিয়েছেন। এই নিয়ে এলাকায় নানা কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।