ভারত ভালোভাবেই জানে, তারা দল না পাঠালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে লাভের মুখ দেখবে না আইসিসি। কেননা বেশির ভাগ স্পন্সর প্রতিষ্ঠান দেশটির দখলে। টিভি স্বত্ব থেকেও বেশি বেশি আয় হবে না আইসিসির। এই কারণে আইসিসিকে রীতিমতো চেপে ধরেছে ভারত। লাভের অঙ্কটা ৪৫০ মিলিয়ন ডলার হলেই ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত এই আসরে খেলতে রাজি ভারত। আর এমনটি না হলে, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি বয়কট করতে পারে ভারত। এতে তারাও আর্থিক জরিমানার মুখে পড়বে তবে আইসিসিকে উচিত শিক্ষা দিতে এখন সে পথেই হাঁটছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড।
এর আগে দুবাইয়ে আইসিসির সভায় ভারতকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ভারতকে দুই হাজার ৪৫০ কোটি টাকা (২৯৩ মিলিয়ন ডলার) দিতে চেয়েছে আইসিসি। ভারত রাজি না হওয়ায় ভোটাভুটির মাধ্যমেই বিলটি আইসিসিতে পাস হয়। যেখানে বিপুল ব্যবধানে হেরে যায় ভারত। কেবল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডকে ছাড়া আর কাউকেই পাশে পায়নি ভারত। দেশটি রাজি না হওয়ায় আইসিসি চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর আরো ১০০ মিলিয়ন ডলার বাড়তি প্রস্তাব রাখে। তাতেও মন গলেনি ভারতের। আগের মতোই ৫৭১ মিলিয়ন ডলারের দাবি জানিয়ে আসছে তারা।
ভারতের এমন একগুয়ে পরিস্থিতিতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজন নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এখন নতুন অবস্থান নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তারা জানিয়েছে ন্যূনতম ৪৫০ মিলিয়ন ডলার (তিন হাজার আটশ কোটি টাকা) রাজস্ব আয় না পেলে আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশ নেবে না তারা।
ভারতীয় বোর্ডের একটি সূত্র জানিয়েছে, লভ্যাংশ বিনিময় নিয়ে আইসিসির সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ৪৫০ মিলিয়ন ডলারের কমে আপস করবে না দেশটি। তবে ভারতকে এত বেশি অর্থ দিতে কোনোভবেই রাজি নন আইসিসি চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।