চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে যেতে হলে বার্সেলোনার বিপক্ষে অলৌকিক কিছুই করে দেখাতে হতো বায়ার্ন মিউনিখকে। সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে পেপ গার্দিওলার দলকে জিততে হতো কমপক্ষে ৪ গোলের ব্যবধানে। তবে ফিরতি লেগে ঘরের মাঠে বার্সেলোনাকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে তারা।ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ গোলে এগিয়ে থেকে ফাইনালের টিকিট পেয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা।
গত সপ্তাহে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে বায়ার্নকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছিল বার্সা। ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মঙ্গলবার বায়ার্নের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ফিরতি লেগে মাঠে নামে লুইস এনরিকের শিষ্যরা।অবশ্য বায়ার্নের মাঠে ম্যাচের শুরুতেই পিছিয়ে পড়েন অতিথিরা। সপ্তম মিনিটে বায়ার্নকে ১-০ গোলে এগিয়ে নেন মেধি বেনাতিয়া। সতীর্থ জাভি আলোনসোর কর্নার কিক থেকে আসা বল হেডে বার্সার জালে জড়িয়ে দেন তিনি।তবে ম্যাচে সমতায় ফিরতে খুব বেশি সময় লাগেনি বার্সার। ১৫ মিনিটে মেসি-সুয়ারেজ ও নেইমারের নৈপুণ্যে ১-১ গোলে সমতায় ফেরে বার্সা। ডি বক্সের ভেতর সুয়ারেজকে পাস দেন মেসি। সুয়ারেজ আবার বল বাড়ান নেইমারকে। বল পেয়ে জালে জড়াতে ভুল করেননি ব্রাজিল সুপারস্টার।
ম্যাচের ১৯ মিনিটে আবার এগিয়ে যেতে পারতো বায়ার্ন। তবে স্বাগতিকদের গোলবঞ্চিত করেন বার্সা গোলরক্ষক টের স্টেগেন। ফিলিপ লামের ক্রস থেকে নেওয়া থমাস মুলারের হেড ঠেকিয়ে দেন তিনি।২৮ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল বার্সার সামনেও। তবে মেসির শট ধরে ফেলেন বায়ার্ন গোলরক্ষক ম্যানুয়েল ন্যুয়ার। অবশ্য পরেই মিনিটেই নেইমারের গোলে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বার্সা। আবারও সুয়ারেজের পাস থেকে গোলটি করেন নেইমার। অর্থাৎ নিজের জোড়া গোল পূরণ করেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার।
৩৯ মিনিটে সোয়ানস্টেইগারের দারুণ এক হেড লাফিয়ে উঠে সেভ করেন বার্সা গোলরক্ষক স্টেগেন। পরের মিনিটে আবারও দুর্দান্ত এক গোল সেভ করেন বার্সা গোলরক্ষক। রবার্তো লেভানডোস্কির শট স্টেগানের হাতে লেগে প্রায় জালে জড়িয়ে যাচ্ছিল। তবে পেছন দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে গোললাইনের একদম ওপর থেকে বল ফিরিয়ে দেন স্টেগেন। ফলে প্রথমার্ধে বার্সা ২-১ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায়।
বিরতির পর ম্যাচের ৫৯ মিনিটে বায়ার্নকে ২-২ গোলে সমতায় ফেরান লেভানডোস্কি। সোয়াইনস্টেইগারের সহায়তায় গোলটি করেন পোল্যান্ডের এই স্ট্রাইকার। ৭৪ মিনিটে ৩-২ গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। বক্সের ভেতর সোয়াইনস্টেইগারের পাস থেকে দারুণ এক শটে গোলটি করেন মুলার। অতিরিক্ত সময়ে হ্যাটট্রিক করে বার্সাকে সমতায় ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিলেন নেইমার। প্রায় মাঝ মাঠ থেকে বল টেনে নিয়ে ডি বক্সে ঢুকে শট না নিয়ে মেসিকে বল বাড়ান ব্রাজিল তারকা। তবে বল নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি আর্জেন্টাইন তারকা। ফলে শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলের জয় পায় বায়ার্ন। আর ফিরতি লেগ হেরেও ফাইনালের টিকিট পায় বার্সা।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।