কক্সবাজারসময় ডেস্কঃ দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনের পরিবেশ ভারসাম্য ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তারই সূত্র ধরে সেন্টমার্টিন থেকে বিচ্ছিন্ন সাত কিলোমিটার দূরে ছেঁড়াদ্বীপে পর্যটক নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) সেন্টমার্টিন দ্বীপে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ১০৬টি আবাসিক হোটেল সরিয়ে নিতে কর্তৃপক্ষকে নতুন করে চিঠি দেবে পরিবেশ অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বিষয়টি সমকালকে নিশ্চিত করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক সোলায়মান হায়দার।
তিনি জানান, সেন্টমার্টিনের সব জায়গাটা পর্যটকদের জন্য না। তাহলে পুরো দ্বীপ ধ্বংস হয়ে যাবে। ছেঁড়াদ্বীপ পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব জমি। ছেঁড়াদ্বীপে কোরাল দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দ্বীপ বাঁচিয়ে রাখতে, কোরাল বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
সোলায়মান হায়দার বলেন, ছেঁড়াদ্বীপ সংরক্ষণের জন্য সেখানে কাউকে যেতে দেওয়া হবে না। কেননা লোকজনের চাপে ছেড়া দ্বীপের কোরাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। পুরো সেন্টমার্টিন নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। সেটি পর্যক্রামে বাস্তায়ন হবে। তাছাড়া দ্বীপে গড়ে উঠা সব আবাসিক হোটেল সরিয়ে নিতে নতুন করে নির্দশনা দেওয়া হবে। সরকারের উর্দ্ধতন কৃতপক্ষের নিদর্শনা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব আবাসিক হোটেল-মোটেল ভেঙে দেওয়া হবে।
কক্সবাজারের পরিবেশবিষয়ক সংস্থা ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটির (ইয়েস) প্রধান নির্বাহী এম ইব্রাহিম খলিল মামুন বলেন, ‘দ্বীপের পরিবেশ রক্ষায় সরকার বার বার উদ্যোগ নিলেও তা বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি। আমরা এখন কার্যকর দেখতে চাই। শুধু ছেঁড়াদ্বীপ কেন, পুরো সেন্টমার্টিনকে রক্ষায় অতিদ্রুত প্রদক্ষেপ নেওয়া দরকার। না হলে সারা বিশ্বে পরিচিত দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ হারিয়ে যাবে।’
দ্বীপের বাসিন্দা আবদুল মালেক বলেন, ‘প্রতিদিন দ্বীপে হাজারো পর্যটক ভ্রমণে আসছে। এসব পর্যটকরা ময়লা আর্বজনা ফেলছে সৈকতে। এভাবে চলতে থাকলে দ্বীপ একদিন শেষ হয়ে যাবে। তাই সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি দ্বীপ রক্ষায় যেন দ্রুত প্রদক্ষেপ নেওয়া হয়।’
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে থেকে ছেঁড়াদ্বীপে পর্যটক না যেতে একটি নিদর্শনা দিয়েছে বলে শুনেছি। এর বাহিরে আমি আর কিছু জানি না।’
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।