স্বাদু পানির মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্হান বিশ্বে চতুর্থ। সামুদ্রিক মাছ ও চিংড়ি উৎপাদনও বেড়েছে। কিন্তু মাছ উৎপাদন-সংরক্ষনে মানবদেহ ও জনস্বাস্হ্যের জন্য ক্ষতিকর মেডিসিনের ব্যবহার বাড়ছে। আর এসব নিয়ন্ত্রনে সরকারগৃহীত পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছে মৎস্য অধিদপ্তর। এর অংশ হিসাবে “নিরাপদ মাছ ও চিংড়ি উৎপাদনে এএমপি ব্যবহারের প্রেক্ষাপট, আইনগত ভিত্তি ও নীতিমালা” শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষন কর্মশালা কক্সবাজারে সম্পন্ন হয়েছে। জেলা মৎস্য ভবনের সম্মেলনকক্ষে গতকাল ৩০ নভেম্বর সকাল ১০ থেকে শুরু হওয়া উক্ত কর্মশালায় এ্যকোয়াশপ মালিক-সরবরাহকারী ও বাগদা চিংড়ি হ্যাচারী টেকনিশিনিয়ানরা অংশ নেন। মৎস্য ও প্রানীসম্পদ মন্ত্রনালয়ের বেষ্ট প্রকল্পের উদ্যোগে জেলা মৎস্য কর্মকর্তার দপ্তর উক্ত কর্মশালার আয়োজন করে। দেশে মৎস্য-চিংড়ি উৎপাদন ও রপ্তানী বৃদ্ধির সাথে এ সেক্টরে বিভিন্ন প্রকার মেডিসিন ও কেমিক্যাল ব্যবহার বাড়ছে। মাছ উৎপাদন ও সংরক্ষনে ব্যবহৃত অনুমোদিত এবং অনুমোদনহীন কেমিক্যাল-মেডিসিন সম্পর্কে এতে বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়। মানবদেহ ও জনস্বাস্হ্যের জন্য ক্ষতিকর নিষিদ্ধঘোষিত মেডিসিন-কেমিক্যাল ব্যাবহার পরিহার করে নিরাপদ মৎস্যপণ্য উৎপাদন, বিশ্বব্যাপী এ্যাকোয়া মেডিসিন ব্যবহারের উপর ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রন, চিংড়ি ও মৎস্যশিল্পে ব্যবহৃত অনুমোদিত মেডিসিন, আন্তর্জাতিক খাদ্য আইন, কোডেক্স, কোড অব কন্টাক্ট, এ্যকোয়া মেডিসিন নিয়ন্ত্রন প্রক্রিয়ার কার্য্যপ্রবাহ ও রূপরেখাসহ অন্যান্য বিষয়ে বড় পর্দায় মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশন করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অমিতোষ সেন। জনস্বাস্হ্য রক্ষার্থে এ্যকোয়াশপ সমূহকে নিষিদ্ধ এন্টিবায়োটিক-মেডিসিন ও কেমিক্যাল বিক্রি ও সরবরাহ থেকে বিরত থাকার আহব্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, প্রয়োজনে আইন প্রয়োগে কার্পন্য করা হবেনা। এসময় দি বেঙ্গল ড্রাগ রুলস-১৯৪৬, ঔষধ আইন ১৯৪০, ঔষধ নিয়ন্ত্রন অধ্যাদেশ-১৯৮২, মৎস্য ও পশুখাদ্য আইন-২০১০, মৎস্যখাদ্য বিধিমালা-২০১১, মৎস্য ও মৎস্যপণ্য (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রন ) অর্ডিন্যান্স-১৯৮৩, ও মৎস্য হ্যাচারী আইনসহ অন্যান্য আইন সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা ও মতবিনিময় করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (সদর) ডঃ মঈন উদ্দীন আহমদ ও মৎস্য অধিদপ্তরীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মশালায় উপস্হিত ছিলেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।