কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেছেন, পর্যায়ক্রমে এ প্রকল্পের আওতায় সকল ক্ষতিগ্রস্থ মালিকদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে। আর ক্ষতিপুরণের টাকা তুলতে গিয়ে কোন হয়রানির শিকার হলে সাথে সাথে জেলা প্রশাসনকে অবহিত করার জন্য জমির মালিকদের প্রতি অনুরোধ জানান। তাই দালাল পরিহার করে ক্ষতিপুরণে টাকা তুলার বিষয়ে সরাসরি এলও শাখায় যোগাযোগ করার জন্য জমির মালিকদের প্রতি তিনি আহবান জানান।
তিনি গতকাল শনিবার সকাল ১১টায় মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্ষতিপুরণের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যদান কালে এসব কথা বলেন।
তবে স্থানীয় এলাকাবাসী চেকবিতরণ অনুষ্ঠানে অধিগ্রহনকৃত জমিতে বর্ষা মৌসুমে স্থানীয় জেলেদের জীবিকা নির্বাহের তাগিদের জাল দিয়ে মাছ আহরনে নিয়োজিত আনচারদের মাধ্যমে হয়রানি না করার দাবি জানান। পাশাপাশি মাতারবাড়ীর কৃষি ঋণ মওকুপ করার বিষয়ে দাবী উত্তাপন করে।
মহেশখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইন ইব্রাহিম এর সভাপতিত্বে চেক বিতরন অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন কোল্ড পাওয়ার জেনারেসন কোম্পানির পরিচালক নজরুল ইসলাম, অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক রাজস্ব শেখ ফরিদ আহাম্মদ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ”ট্টগ্রামের প্রকৌশলী শামসুল আলম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ারুল নাছের, সহকারী কমিশনার ভূমি নোমান হোসেন, মাতার বাড়ীর চেয়ারম্যান এনামূল হক চৌধুরী রুহুল,সাবেক চেয়ারম্যান ডাঃ কবির আহাম্মদ,ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মাষ্টার মাহামদুল্লাহ, সমাজ সেবক জাহাঙ্গীর বাদশা, মাতারবাড়ীর ইউপি সদস্য বশির আহমদ, কালা মিয়া, মহিলা সদস্য রেহানা বেগম ও হাছিনা বেগম প্রমূখ।
উল্লেখ্য, প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন ১৯৯ চেকের মাধ্যমে জমির মালিকদের প্রায় ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপুরণে টাকা বিতরণ করে। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন,জেলা সেচ্চা সেবকলীগের সদস্য শওকত ইকবাল মুরাদ।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।