অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। তবে আমরা এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠছি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কাটিয়ে ওঠার জন্য বাংলাদেশ যেসব প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছে সেগুলো বিশ্বের যেকোনো দেশের তুলনা বেশি চমকপ্রদ।
বুধবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতার যৌথভাবে আয়োজিত জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস বিষয়ে তিন দিনব্যাপী এশিয়া-প্যাসিফিক ব্রডকাস্টিং ইউনিয়নের (এবিইউ) গণমাধ্যম সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী ক্লাইমেট চেঞ্জ ফান্ড গঠনের আগেই বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করে। স্বাধীনতার পরপরই ঘূর্ণিঝড়ে বাংলাদেশে ব্যাপক ক্ষতি হয়। তখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘মজিব কিল্লা’ নির্মাণের মাধ্যমে তা মোকাবিলা করেছিলেন।
অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এ সম্মেলন দেশের গণমাধ্যমের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশে এ সম্মেলনের আয়োজন করায় আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে গণমাধ্যম কী ভূমিকা রাখতে পারে সে করণীয় ঠিক করতে বিশ্বের ১৭টি দেশের তিনশত গণমাধ্যম কর্মী, ব্যক্তিত্ব ও বিশিষ্টজনেরা এ সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন।
সম্মেলনে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত অর্ধশতাধিক পরিবেশবিদ, গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞ, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেশীয় অংশগ্রহণকারীদের সমন্বয়ে অধিবেশন হবে। অধিবেশন শেষে ঢাকা ঘোষণা প্রণয়ন করে তা মেক্সিকোর কানকুনে আসন্ন জাতিসংঘের দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসবিষয়ক বিশ্ব সম্মেলনে এজেন্ডাভুক্তির জন্য পাঠানো হবে। এ ছাড়া সম্মেলনের তৃতীয় দিন সদরঘাট থেকে নৌ ভ্রমণে বের হবেন বিদেশি অতিথিরা। তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলন চলবে ১২ মে পর্যন্ত।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম মতুর্জার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন এবিইউয়ের সেক্রেটারি জেনারেল জাভেদ মুত্তাগী।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।