৬ মার্চ, ২০২৫ | ২১ ফাল্গুন, ১৪৩১ | ৫ রমজান, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  বন কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকির ভিডিও ভাইরাল, নিরাপত্তা চেয়ে জিডি   ●  টেকনাফে ১০০০ জেলে পরিবারকে সহায়তা করছে কোস্ট ফাউন্ডেশন   ●  আল-নুর ইন্টান্যাশনাল মাদ্রাসা’র বই বিতরনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  টেকনাফে গহীন পাহাড়ে বন্যহাতির রহস্যজনক মৃত্যু!   ●  কক্সবাজার জেলা প্রশাসনে ‘হাসিনার ভূত’ .নৈশভোটের মাস্টারমাইন্ড ইয়ামিন বহাল তবিয়তে   ●  কক্সবাজার সদর হাসপাতালে যোগদান করলেন ডা. আরিফা মেহের রুমী   ●     ●  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ওয়াসিমের কবর জিয়ারত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক দল   ●  চকরিয়ায় দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ৩ জনকে আটক   ●  অনুপ্রবেশকালে বিজিবি হেফাজতে ৩৬ মিয়ানমার

জলবায়ু পরিবর্তন : অস্থিত্ব সংকটে উপকূলীয় জনজীবন

bay of bengal
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আবহাওয়ার বিরুপ প্রতিক্রিয়ায় কক্সবাজারের সমুদ্র উপকুলবর্তী মানুষের জীবন ও জীবিকা অস্থিত্ব সংকটের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে অতি দাবদাহের কারণে দেশজুড়ে চলমান আশংকা ও উদ্বেগ ধীরে ধীরে বাস্তবরূপে আবির্ভূত হতে শুরু করেছে। কয়েকদিনের টানা বর্ষণে ইতোমধ্যেই জেলার নিম্নাঞ্চল ও দ্বীপাঞ্চল পানিতে নিমজ্জিত। ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে কক্সবাজার সদর, টেকনাফ, সেন্টমার্টিন, শাহপরীরদ্বীপ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া ও চকরিয়াসহ বঙ্গোপসাগরের উপকুলীয় নিম্নাঞ্চল ও দ্বীপাঞ্চল সমূহে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও নানা মুখি সামাজিক এবং প্রতিবেশগত মিথষ্ক্রিয়ায় ওই সকল অঞ্চলে জনদূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ও জলোচ্ছ্বাসের ফলে বিপুল ক্ষয়ক্ষতিসহ অতিবৃষ্টিও অস্বাভাবিক জোয়ারের প্রভাবে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার কয়েক লক্ষাধীক জনগোষ্ঠি।
জার্মান ওয়াচ এর গ্লোবাল ক্লাইমেট ইন্ডেক্স ২০১১ অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে বেশি ঝূঁকিপ্রবন ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষে। আবার আন্তর্জাতিক জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল এর হুশিয়ারী হচ্ছে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের শতভাগ ভূখন্ড সমুদ্রে তলিয়ে যাবে। যা শুধু উপকুলীয় নিম্নাঞ্চল ও দীপাঞ্চল সমূহের মধ্যে সীমাবদ্ধ। সেই হিসেবে সমুদ্রশহর কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, সোনাদিয়াদ্বীপ, কক্সবাজার সদরের উপকুলবর্তী খুরুস্কুল, পিএমখালী, ভারুয়াখালী, চৌফলদন্ডী, ইসলামপুর, পোকখালী, চকরিয়ার বদরখালী, পেকুয়ার মগনামাসহ সমুদ্র উপকুলের নিম্নাঞ্চল ও দ্বীপাঞ্চলসমূহ অস্থিত্ব সংকটের মুখোমুখি। এছাড়া এভাবে আরও কয়েকদিন টানা বৃষ্টি হলে হুমকির মুখে পড়বে জীববৈচিত্র্যতা ও প্ররিবেশ। অন্যদিকে গত পাচঁ বছরে পাহাড়ের ঢালে ঝুঁকিপুর্ণ বসবাসের পরিমাণ বেড়েছে কয়েকগুন। শুরু হয়েছে নতুন নতুন পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি। গত কয়েক বছর ধরে শহরের পাহাড়ি এলাকায় অবৈধ ও অপরিকল্পিত বসতি বেড়ে যাওয়ায় পাহাড়গুলো আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ফলে যে কোন সময় ভারী বর্ষণে পাহাড়ি ঢলে পাহাড় ধ্বসে মৃত্যূহানি ঘটতে পারে। পরিবেশবিদদের অভিমত পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী ও উপকুলীয় এলাকায় বসবাসরত মানুষগুলোর বড় ধরনের বিপর্যয় ঠেকাতে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে মারাত্মক ঝূঁকির কবলে পড়তে পারে এসব এলাকায় বসবাসরত জনজীবনে। বৈশ্বিক উষ্ণতাবৃদ্ধির ফলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত জটিলতার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে প্রকৃতির উপর। ওই অবস্থায় কক্সবাজারের উপকুলীয় নিম্নাঞ্চল ও দ্বীপাঞ্চলসমূহ জলোবায়ু পরিবর্তনের জটিলতায় অস্থিত্ব সংকটের মুখোমুখি দাঁড়ানো সত্বেও এখনো পর্যন্ত এসব রোধ কল্পে কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নি। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব ও বিপর্যয়রোধে দীর্ঘমেয়াদী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে উপকুলীয় নিম্নাঞ্চল সমূহকে সমুদ্রগর্ভে বিলীন হওয়া থেকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করেন সচেতন মহল।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।