নিজস্ব প্রতিবেদক:
কর্মক্ষেত্রে নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতিস্বরূপ ও মাঠ পর্যায়ে সকল উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষি সম্প্রসারণ সেবায় অনন্য ভূমিকা রাখায় শুদ্ধাচার পুরস্কার নীতিমালা অনুযায়ী ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের কক্সবাজার জেলার মধ্যে উপজেলা কার্যালয় প্রধান ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেলেন উখিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ তালুকদার। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে রাষ্ট্রীয় এ সম্মাননা দেওয়া হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা পর্যায়ে একজন করে উপজেলা কৃষি অফিসার এ পুরস্কারে ভূষিত হন।
এ উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানে কক্সবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক উপপরিচালক ও বর্তমান যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ ড. এখলাছ উদ্দিন ও বর্তমান কক্সবাজার জেলার উপপরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ কবির হোসেন তার হাতে ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন রামু উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবু মাসুদ সিদ্দিকী।
এ উপলক্ষে আজ বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) উপজেলা কৃষি অফিস কার্যালয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ তালুকদারকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান উপজেলা উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা ও কর্মচারীবৃন্দ।
তিনি চাকুরি জীবনে ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে ৩৪তম বিসিএস’র মাধ্যমে কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার হিসেবে সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে যোগদান করেন। পরবর্তীতে দায়িত্ব পালন শেষে পদোন্নতি পেয়ে ২০২০ সালে সেপ্টেম্বর মাসে উখিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন।
শুদ্ধাচার পুরস্কারের জন্য মনোনীত হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ তালুকদার বলেন, কাজের স্বীকৃতি সবাই আশা করে। এ পুরস্কার আমাকে আমার কাজের প্রতি আরও বেশি উৎসাহী করে তুলবে।
আমাকে এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, ‘সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়: জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল’ শিরোনামে সরকারের মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা রাষ্ট্রীয় অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের পুরস্কার প্রদানের উদ্দেশ্যে ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে শুদ্ধাচার পুরস্কার নীতিমালা প্রণয়ন করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। গেজেটে এ পুরস্কারের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ‘প্রতিবছর সরকারের শুদ্ধাচার পুরস্কারপ্রাপ্তরা পুরস্কার হিসেবে একটি সনদ এবং এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ পাবেন।’
পুরস্কারে নির্বাচিতদের জন্য ১৮টি গুণাবলি থাকতে হবে। এগুলো হলো: নিজের পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতা থাকা, কর্মস্থলে সততার নিদর্শন স্থাপন করা, নির্ভরযোগ্যতা ও কর্তব্যনিষ্ঠা, শৃঙ্খলাবোধ, সহকর্মীদের সঙ্গে শুভ আচরণ, সেবাগ্রহীতার সঙ্গে শুভ আচরণ, প্রতিষ্ঠানের বিধিবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা, সমন্বয় ও নেতৃত্বদানের ক্ষমতা, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শিতা, পেশাগত স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক নিরাপত্তা সচেতনতা, ছুটি গ্রহণের প্রবণতা, উদ্ভাবনী চর্চার সক্ষমতা, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে তৎপরতা, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার, স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশে আগ্রহ, উপস্থাপন দক্ষতা, ই.ফাইল ব্যবহারে আগ্রহ এবং অভিযোগ প্রতিকারে সহযোগিতা করা।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।