কক্সবাজার সদরের জালালাবাদে যৌতুকের দাবীতে গৃহবধুকে বেধড়ক মারধর করেছে পাষন্ড স্বামী ও দুই ননদ। মারাত্নক আহত গৃহবধু জেসমিন আকতার এখন কক্সবাজার সদর হাসপাতালস্হ ওয়ান স্টেপ ক্রাইসিস সেল ওসিসি’তে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। ২২ ফেব্রুয়ারী বর্নিত ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের বাহারছড়া গ্রামে উক্ত ঘটনা ঘটে। আহত গৃহবধু জেসমিন আকতার (২২) একই ইউনিয়নের দক্ষিন লরাবাগ গ্রামের সোলতান আহমদের মেয়ে।
জেসমিনের ভগ্নিপতি ছৈয়দ আলম জানান, বিগত ২০১২ সালে বাহারছড়া গ্রামের মৃত হাবিব উল্লাহর ছেলে মোঃ ফারুকের সাথে জেসমিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ের জন্ম হয়।
ভিকটিম জেসমিন আকতার জানান, বিয়ের পর থেকে প্রায়ই স্বামী ফারুক যৌতুকের জন্য তাকে নির্যাতন করত ও বাপের বাড়ী থেকে মোটা অংকের যৌতুক এনে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করত। কিন্তু সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে শত নির্যাতন সহ্য করেও সংসার করে আসছিল জেসমিন।
কিন্তু গত ২২ ফেব্রুয়ারী ননদ লাকী আকতার শশুর বাড়ী থেকে বেড়াতে এলে ফারুককে বিভিন্ন কথা বলে উত্তেজিত করে তুলে। এরপর ফারুক যৌতুকের দাবীতে আবারো চড়াও হয় স্ত্রী জোসমিন আকতারের উপর। ভাইবোন মিলে একপর্যায়ে তাকে বেধড়ক মারধর শুরু করে। লোহার রড ও গাছের লাঠি দিয়ে মারার সময় অবিবাহিত ননদ কুলসুমাও তাদের সাথে যোগ দেয়। স্বামী ও দুই ননদের আমানুষিক মারধরের ফলে জেসমিনের মুখমন্ডল, হাত ও পিঠে মারাত্নক জখম হয়। এরপর স্হানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় বাপের বাড়ী চলে এলে আত্নীয় স্বজন তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে এনে ওয়ান ষ্টেপ ক্রাইসিস সেল (ওসিসি)তে ভর্তি করেন। সেই থেকে আহত গৃহবধু সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অভিযুক্ত স্বামী ফারুক ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। সংঘঠিত ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।