বিশেষ প্রতিবেদক : জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ বুধবার। জেলায় এবার ৪৮টি কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী ৩৫ হাজার ৩৬৬ জন অংশ গ্রহন করবেন। এরমধ্যে জেএসসি পরীক্ষার ৩৩টি কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী ২৫ হাজার ৮৬৮ জন অংশ গ্রহন করবেন। অন্যদিকে মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে জেডিসি পরীক্ষার ১৫ কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী ৯ হাজার ৪৯৮ জন। ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এই পরীক্ষা। এছাড়া এ বছর পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৩০ মিনিট আগে হলে প্রবেশ করার বিধি চালু করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
জেলা প্রশাসনের শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, জেএসসি পরীক্ষার্থীর ৩৩ কেন্দ্রের মধ্যে কক্সবাজার সদরের ঈদগাহ আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ৪২১ জন, ঈদগাহ্ জাহানারা ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ৬১০ জন, ঈদগাও আর্দশ শিক্ষা নিকেতন কেন্দ্রে ৪৮৬ জন, কক্সবাজার সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১ হাজার ৩২৯ জন, কক্সবাজার সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ১ হাজার ৬৩৩ জন, কক্সবাজার মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭৩৫ জন, রামু উপজেলার রামু খিজারী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৮৮৫ জন, রামু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৮৬৫ জন, জোয়ারিয়ানালা এইচ.এম.সাঁচি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪২৩ জন, গর্জনিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২৫৫ জন, চকরিয়া সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১ হাজার ২০০ জন, চকরিয়া সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১ হাজার ১০০ জন, ডুলাহাজারা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭৮৬ জন, ইলিশিয়া জমিলা বেগম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪০০ জন, চকরিয়া কেন্দ্রীয় উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭০০ জন, চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ কেন্দ্রে ১৩০০ জন, হারবাং ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪৫০ জন, কুতুবদিয়া সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১ হাজার ১০৫ জন, ধুরুং আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৫৮৬ জন, মহেশখালী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১ হাজার ১৫৯ জন, কালারমারছড়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১ হাজার ৩৪০ জন, মাতারবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৫৪০ জন, বড় মহেশখালী বালিকা কেন্দ্রে ৫৬৭ জন, উখিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩২৯ জন, উখিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৯৭০ জন, কুতুপালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৫৫০ জন, পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১ হাজার ৫৯ জন, টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৫৩১ জন, এজাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৫২১ জন, আলহাজ্ব আলী আছিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৮০৯ জন, পেকুয়া জিএমসি ইনস্টিটিউশন কেন্দ্রে ৫৯৮ জন ও পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৮৮৬ জন।
অন্যদিকে জেডিসি পরীক্ষার ১৫ কেন্দ্রের মধ্যে কক্সবাজার সদর উপজেলার ইসলামিয়া মহিলা কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষাথী ৬০৬ জন, কক্সবাজার আদর্শ মহিলা কামিল মাদরাসা কেন্দ্রে ৮০৪ জন, ঈদগাঁও আলমাছিয়া ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে ৮৮৩ জন, চকরিয়া আনওয়ারুল উলুম ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রের ১ হাজার ৪৩২ জন, পহরচাঁদা ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে ২৪৩ জন, আমজাদিয়া রফিকুল উলুম মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৫৩৮ জন, কুতুবদিয়া বড়ঘোপ ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে ৬৫২ জন, মহেশখালীর পুটিবিলা ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে ৮২১ জন, কালারমারছড়া দাখিল মাদরাসা কেন্দ্রে ৫০০ জন, টেকনাফের রঙ্গিখালী দারুল উলুম ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে ৬৩৩ জন, পেকুয়া আনোয়ারুল উলুম আলিম মাদরাসা কেন্দ্রে ৬১৭ জন, রাজাখালী বিইউআই ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ২৫৮ জন, রামুর মেরংলোয়া রহমানিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা ৫৯৫ জন,গর্জনিয়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ২৪৪ জন, উখিয়া রাজাপালং এম, ইউ ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে ৬৭২ জন।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আশরাফ হোসেন জানান, পরীক্ষা সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত করতে সব ধরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন। এবার প্রশ্নপত্র ফাসঁরোধে কঠোর গোপনীয় ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পরীক্ষা আরম্ভ হওয়ার আধ ঘন্টা পূর্বে উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণকে সেট কোড জানিয়ে দেওয়া হবে। সেই অনুযায়ি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এছাড়া পরীক্ষা যথাযতভাবে গ্রহণের লক্ষ্যে মাঠে থাকবে ৫টি ভিজিল্যান্স টিম। পরীক্ষা সুষ্ঠুও নকলমুক্ত করতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।