২৮ নভেম্বর, ২০২৪ | ১৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  যারা ক্লাসে ৭০% উপস্থিত থাকবে না তাদের পরিক্ষায় অংশগ্রহন করতে দেওয়া হবে না- শাহাজাহান চৌধুরী   ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান

জেলার জন্য আট’শ বস্তা খাদ্য সামগ্রী বরাদ্দ

coxsbazar pict 29.06.2015

কক্সবাজার জেলায় আরো ৮’শ পরিবারের জন্য আট’শ বস্তা খাদ্য সামগ্রী বরাদ্দ দিয়েছে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়। সোমবার সকালে এসব ত্রাণ কক্সবাজার জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কার্যালয়ে পৌঁছানোর পর ওইসব মালামাল সংশ্লিষ্ট দূর্গত এলাকায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে। সোমবার অথবা মঙ্গাবারের মধ্যেই এসব ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজা-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল।
কক্সবাজারে গত রোববার থেকে বৃষ্টিপাত একেবারেই হয়নি। সারাদিন ছিলো রোদ। ঢলের পানি নেমে যাওয়া খাল বিল-নদী নালা থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। এতে করে জেলার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। পানি কমলেও দূর্ভোগ কমেনি পানিবন্দি হয়ে পড়া মানুষগুলো। বন্যা দুর্গতরা ঘরে ফিরতে শুরু করলেও দুর্ভোগ যেন তাদের পিছুই ছাড়ছে না। তাদের খাদ্য ও বিশুদ্ধ খাবার পানির সঙ্কটের পাশাপাশি অনেক স্থানে বিভিন্ন রোগব্যাধি দেখা দিয়েছে। অনেকেই গবাদিপশুকে খাদ্য দিতে না পেরে বাজারে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। টানা বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে জেলার কক্সবাজার সদর, চকরিয়া, রামু ও পেকুয়া উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পানিতে ভেসে গিয়ে পাহাড় ধ্বস দেয়াল ধ্বস,গাছ চাপা পড়ে এবং বিদ্যুৎ স্পষ্ট হয়ে জেলায় ২৪ জনের মৃত্যুও হয়েছে। নিহত আহত পরিবারের সদস্যদেরকে সরকারী ভাবে অর্থ সহায়তা দেয়া হয়েছে।
গত সাত দিনের বন্যায় জেলার সাতটি উপজেলার ৪০টি গ্রামের মানুষের বাড়ি-ঘর পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছিল। বন্যার পানি হ্রাস পাওয়ায় বন্যা দুর্গত মানুষের মাঝে খাদ্য ও বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এসব মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যেই সরকারি-বেসরকারিভাবে ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রাখা হয়েছে। বন্যার সময় বেশিরভাগ এলাকা দীর্ঘ সময় পানির নিচে তলিয়ে থাকার কারণে ফসলসহ তৃণজাতীয় খাদ্য স্বমূলে নষ্ট হয়। এতে করে বন্যা দুর্গত এলাকায় গবাদিপশুর চরম খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। স্বল্প আয়ের চাষীরা সারা দিন মাঠে ঘুরেও গো-খাদ্যের কাঁচাঘাস খুঁজে পাচ্ছেন না। অনেকেই সংসারের খরচ পাশাপাশি চাল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে হিমশিম খাচ্ছে।
বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশন ও কমিউনিটিটি পুলিশের উদ্যোগে পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহম্মদ দূর্গতদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে।
এদিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির অভিযোগ, দুর্গতদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি ত্রাণ প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। তবে প্রশাসনের দাবি, প্রতিটি উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে এবং পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় কক্সবাজার জেলার সদর, পেকুয়া, চকরিয়া, রামু, কুতুবদিয়া, টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলার প্লাবিত এলাকা থেকে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। অনেক স্থানে বন্যার পানি নেমে গেলেও এখনো রাস্তাঘাট ডুবে রয়েছে, জলকাদায় ভরে গেছে। অন্যদিকে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থানরত হাজার হাজার মানুষ ত্রাণ সামগ্রী না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
কক্সবাজার-সদর রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল জানান, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে রামু উপজেলার জন্য ৫’শ বস্তা খাদ্য সামগ্রী ও চকরিয়ার জন্য ৩’শ বস্তা খাদ্য সামগ্রী বরাদ্দ আনা হয়েছে। সরকারিভাবে যে বরাদ্দ দুর্গত এলাকায় দেয়া হচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় কম বলে জানান তিনি।
কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ড. অনুপম সাহা জানিয়েছেন, প্রতিটি উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে এবং পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জেলায় বন্যাদুর্গত লোকদের জন্য ১৪৫ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১১ লক্ষ টাকা , ১৪৫ বস্তা ছিড়া , গুড় ১৪০ থান, ১৫৫ বস্তা মুড়ি বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়া প্রতিটি মৃত ব্যক্তির পরিবারের জন্য ২০ হাজার টাকা করে নগদ সাহায্য দেয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, জেলায় বন্যাদুর্গত এলাকায় ১৪১টি আশ্রয় কেন্দ্রে এ পর্যন্ত ৬৫ হাজার ২’শ জনকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা মোঃ জাহাংগীর আলম জানান, জেলায় দূর্গত ৮’শ পরিবারের জন্য ৮’শ বস্তা ত্রাণ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। জন্য চাল, চিনি, দুধ, লবণ , আলু ,তৈল ও খাবার পানি বরাদ্দ দিয়েছে
সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ দেয়া এসব ত্রাণের মধ্যে রয়েছে, ্য চাল, চিনি, দুধ, লবণ , আলু ,তৈল ও ৭ লিটার করে খাবার পানি । ইতোমধ্যে ত্রাণগুলো কক্সবাজার ত্রাণ ও দূর্যোগ কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে পৌঁছেছে সোমবার সকালে। জেলা ত্রাণ তিনি আরো জানান জানান, বরাদ্দ দেয়া খাদ্য সামগ্রী দ্রুত সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিকট পৌছে দেয়া হচ্ছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।