কক্সবাজার জেলা ছাত্রদলের সদ্য ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর ছাত্রদলে অসন্তোষ আরো বেড়েছে। কক্সবাজারের ইতিহাসে এটি বৃহত্তম কমিটি হলেও অনেক ত্যাগী নেতা বাদ পড়েছেন বলে সর্বত্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এ ছাড়াও জেলা ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে পদ বাণিজ্যের অভিযোগ এনে ইতোমধ্যে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছন কক্সবাজার পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক মোঃ ইলিয়াছ। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অনেকেই পদত্যাগ ইচ্ছা পোষণ করেছেন। ঘোষিত ছাত্রদলের কমিটি গঠনতন্ত্র পরিপন্থি বলে জানালেন ছাত্রদলের কয়েকজন সাবেক নেতা।
কক্সবাজারের ইতিহাসে বৃহত্তম ৪২৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করেও পার পাচ্ছে না জেলা ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ। কমিটিতে আত্মীয় করণ, পদ বাণিজ্য হয়েছে এমন অভিযোগ করেছেন কমিটিতে পদ পাওয়া অনেক নেতাকর্মী। ঘোষিত কমিটিতে ইয়াবা ব্যবসায়ি সহ অনেক অপরাধীও স্থান পেয়েছে বলে নেতাকর্মীদের অভিযোগ।
পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক মোঃ ইলিয়াছ জানান, ঘোষিত কমিটি কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। যারা রাজ পথে সংগ্রাম করে ছাত্রদলের রাজনীতিকে জাগিয়ে রেখেছে তাদের বাদ দিয়ে কিংবা অবমূল্যায়ন করে রাজনীতি হবে না। তাই পৌর ছাত্রদলের আহবায়কের পদ থেকে পদত্যাগের আগ্রহ ব্যক্ত করেছি।
জেলা ছাত্রদলের সম্পাদকীয় পদে থাকা একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন যাদের কমিটিতে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে তাদের অধিকাংশকে অনেকেই চিনে না। তারা কি করে পদ পেয়েছে তা খতিয়ে দেখা দরকার। জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদের দোহাই দিয়ে এ কমিটি অনুমোদন করে এনেছেন। ছাত্রদলের স্বার্থে ঘোষিত কমিটি অবিলম্বে বাতিল করা প্রয়োজন।
জেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা ও বর্তমানে বিএনপির একজন শীর্ষ পর্যায়ের নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, ৪২৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির মাধ্যমে এখন সবাই জেলার নেতা হয়ে গেলেন। এটি ছাত্র রাজনীতির অধঃপতনের লক্ষণ। বর্তমানে ঘোষিত কমিটির মাধ্যমে ছাত্রদল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমন কমিটি ছাত্রদলের গঠনতন্ত্রে নেই।
জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মনির উদ্দিন জানান, ছাত্রদলের গঠনতন্ত্র অনুমোদিত হয়েছে অনেক আগে। ৪২৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠনতন্ত্রে না থাকলেও কেন্দ্রিয় কমিটি নির্দেশে এটি করা হয়েছে। ঘোষিত কমিটিতে ত্যাগী নেতাকর্মীরাই স্থান পেয়েছে, এতে অসন্তোষের কিছু নেই।
সুত্র : দৈনিক কক্সবাজার
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।