আসন্ন কক্সবাজার জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০ নং ওয়ার্ডে সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন জেলা জাতীয় পার্টির জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ও কক্সবাজার উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি আলহাজ্ব রুহুল আমিন সিকদার।
তিনি মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার হাত থেকে তার মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন। এসময় এলাকার মান্যগন্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
রুহুল আমিন সিকদারের সংক্ষিপ্ত পরিচয়:
রুহুল আমিন সিকদার কক্সবাজার শহরের আলীর জাঁহাল এলাকার বাসিন্দা। তার পিতা প্রবীন মুরব্বি দানবীর আলহাজ্ব শাসসুল সিকদার। তিনি ৫ ভাই ৫ বোনের মধ্যে ২য়। তিনি সাইমুম সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তার হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে অনেক সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন।
ব্যক্তিগত জীবনে রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন তিনি।
রাজনীতিবিদ, সমাসেবক, ক্রিড়ানুরাগী, সাংস্কৃতি গুণে গুণান্বিত এই ব্যক্তি কক্সবাজার জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০ নং ওয়ার্ডের সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন।
এলক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন। দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন ভোটারদের। বলছেন নিজ অকুতিমাখা অভিব্যক্তির কথা। ভোটারদের কাছে তুলে ধরেছেন কর্মপরিকল্পনা।
ব্যক্তি হিসেবে রুহুল আমিন সিকদার সার্বজনীন। তিনি একজন মিডিয়া ব্যক্তিত্বও। দল-মতের উর্ধ্বে থেকে তিনি কাজ করেন। সুসম্পর্ক রয়েছে সবমহলের সাথে।
কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচিত হলে তিনি অনেক কাজ করতে পারবেন বলে মনে করছেন সচেতন মানুষজন।
নির্বাচিত হলে কেমন কাজ করবেন? জানতে চাইলে প্রতিবেদককে রুহুল আমিন সিকদার বলেন, ‘আমি সাধারণ মানুষের কাতারে বড় হয়েছি। দীর্ঘ দিন ধরে মানুষের সুখে-দুঃখে কাজ করছি। সুযোগ পেলে অসহায় মানুষের কথা শুনতে ছুটে গিয়েছি। অকাতরে বিলিয়েছি পৈত্রিক সহায়-সম্পদ। তবে, এসব কাজ সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত প্রচেষ্ঠায়।
তিনি বলেন, পাওয়ার জন্য নয়, শুধু দেওয়ার জন্যই আমি সর্বদা ব্যাকুল। আজীবন সেভাবে চেষ্টা করে চলেছি। তবে, এই দেওয়া সীমাবদ্ধ। সরকারী সুযোগ পেলে গণমানুষের জন্য অনেক কাজ করতে পারব। বঞ্চিত মানুষের পক্ষে কথা বলতে আমি একবার সুযোগ চাই।
তিনি আরো বলেন, সরকার গ্রামীন অবকাঠামোর উন্নয়ন করতে বদ্ধ পরিকর। ডিজিটালেও এগিয়ে চলছে সোনার বাংলা। কিন্তু যোগ্য ও আমানতদার নেতৃত্বের অভাবে উন্নয়নযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। কাঙ্খিত উন্নয়ন হচ্ছেনা। সরকারী ব্যয়-বরাদ্দ সুসম বন্ঠনের মাধ্যমে আমি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই। সুযোগ পেলে নজির স্থাপন করব।
পর্যটন শহরের উন্নয়নে দৃষ্টিভঙ্গি জানতে চাইলে জেলা পরিষদের সদস্য প্রার্থী রুহুল আমিন সিকদার বলেন, কক্সবাজারে যে সম্পদ ও আয়ের উৎস্য রয়েছে, তা দিয়ে অনেক কিছু করা সম্ভব। আমি নির্বাচিত হলে আমার নির্বাচনি এলাকার সম্মানিত জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয় করে কাজ চালিয়ে যাব। কোন বৈষম্য আমার কাছে প্রশ্রয় পাবেনা। ‘সমহারে বন্ঠন’ নীতি প্রতিষ্ঠা করা হবে।
এ সময় তিনি কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ভোটারদের কাছ থেকে তাদের মূল্যবান ভোট ও সবার দেয়া কামনা করেন।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৮ ডিসেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচন।
কক্সবাজার পৌরসভা, ঝিলংজা, পিএমখালী, খুরুশকুল চৌফলদন্ডি নিয়ে ১০ নং ওয়ার্ড গঠিত।
বিধিমতে, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর, ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারদের ভোটে নির্বাচিত হবেন জেলা পরিষদের মেম্বার।
সে হিসেবে এই এলাকার ৭১ জন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির ভোটই মূল ভরসা। যিনি তাদের ম্যানেজ করতে পারবেন, তিনিই হবেন কক্সবাজার সদর ওয়ার্ডের জেলা পরিষদ সদস্য।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।