আগামীকাল বুধবার ( ২৮ ডিসেম্বর) প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেলা পরিষদ নির্বাচন। আর এ নির্বাচনকে ঘিরে বেশ কিছু নির্দেশনা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোটকেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, নির্দেশনা আছে তল্লাশিরও।
অন্যদিকে ‘বেশ কিছু’ এলাকায় স্থানীয় সাংসদদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘন ও প্রভাব খাটানোর অভিযোগ এসেছে। এরই প্রেক্ষিতে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে ওই সাংসদদের নির্বাচনী এলাকা ছাড়তে নির্দেশনা দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন।
গতকাল সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) শেরেবাংলানগরে কমিশন কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘কিছু প্রার্থী ও সরকারদলীয় সাংসদ নানাভাবে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন বলে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ আমরা পেয়েছি। এ ধরনের কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না।’
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত জেলা ও উপজেলায় স্থাপিত কেন্দ্রে এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা বাদে বাকি ৬১ জেলায় ভোট গ্রহণ হবে।
প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনের ভোটাররা হচ্ছেন স্থানীয় সরকারের সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিগণ। সাধারণ ভোটারদের সরাসরি কোনো অংশগ্রহণ থাকবে না।
শাহনেওয়াজ আরো জানান, ভোটকেন্দ্রের অনিয়ম ঠেকাতে প্রতিটি ভোটকক্ষের সামনে একজন করে নির্বাহী হাকিম উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া ভোটার বা জনপ্রতিনিধিগণ ভোটকেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না। ব্যালট পেপারের কোথাও পরিচিতিমূলক চিহ্ন ব্যবহার করলে তা বাতিল করা হবে।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন জেলা প্রশাসক ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন এ নির্বাচন কমিশনার।
এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতি জেলায় একজন চেয়ারম্যান এবং ১৫ জন ওয়ার্ড সদস্য ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের পাঁচজন সদস্য নির্বাচিত হবেন। প্রায় ৬৩ হাজারেরও বেশি ভোটারের এ নির্বাচনে জেলা ও উপজেলায় ওয়ার্ডভিত্তিক ৯১৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে।
তবে ২১ জেলায় ইতোমধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া কুষ্টিয়ায় চেয়ারম্যান পদে একজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পর আদালতের আদেশে তা স্থগিত করা হয়েছে।
নির্দলীয় এ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ একক প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেও তাদের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে অনেক জেলায়। বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ বেশ কিছু রাজনৈতিক দল এ নির্বাচন বর্জন করেছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।