প্রথমবারের মত হতে যাওয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচারণা শেষ হচ্ছে আজ মধ্যরাত ১২টার পর থেকে।
শনিবার নির্বাচন কমিশনের সহকরী সচিব আশফাকুর রহমান স্বাক্ষরিত একটি নির্দেশনা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জেলা পরিষদ নির্বাচনী এলাকায় ২৬ ডিসেম্বর থেকে সব ধরনের প্রচার–প্রচারণা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কোন প্রার্থী নির্দশনা না মানলে তার বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, “সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার জন্যে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী স্থানীয়ভাবে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীও যথাসময়ে নিয়োজিত থাকবে।
আগামী ২৮ ডিসেম্বর দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদে ভোট হবে। নির্বাচন ঘিরে ১২ ডিসেম্বর থেকে ১৮ দিনের জন্য ৯১ জন নির্বাহী হাকিম নির্বাচনী এলাকাগুলোতে নিয়োজিত রয়েছেন। এছাড়া ভোটের সময় চার দিন ৯১ জন বিচারিক হাকিম থাকবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোবাইল-স্ট্রাইকিং ফোর্সে।
২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর সরকার ৬১ জেলায় আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ের নেতাদের প্রশাসক নিয়োগ দেয়। অনির্বাচিত এই প্রশাসকদের মেয়াদ শেষেই ডিসেম্বরে নির্বাচন হচ্ছে।
সংসদ, সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচন হলেও জেলা পরিষদ আইনে প্রত্যক্ষ ভোটের বিধান নেই।
আইন অনুযায়ী প্রত্যেক জেলার অন্তর্ভুক্ত সিটি করপোরেশনের (যদি থাকে) মেয়র ও কাউন্সিলর, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর এবং ইউপির চেয়ারম্যান ও সদস্যরা এ নির্বাচনে ভোট দেবেন।
সব মিলিয়ে ৬৩ হাজার ১৪৩ জন ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৪৮ হাজার ৩৪৩ জন পুরুষ; নারী ১৪ হাজার ৮০০ জন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।