বিশেষ প্রতিবেদক:
কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সভাপতি ও উখিয়া-টেকনাফ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সোহেল আহম্মদ বাহাদুরের উপস্থিতিতে পালংখালী ইউনিয়ন যুবলীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে অন্তত পক্ষে ১০জন আহত হয়েছে। এসময় দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে নিজেকে আত্মরক্ষা করেছেন সোহেল আহম্মদ বাহাদুর। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উখিয়া-টেকনাফ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা যুবলীগ সভাপতি সোহেল আহম্মদ বাহাদুর উখিয়ার পালংখালী থেকে নির্বাচনী প্রচারনা শুরু করতে প্রথমবারের মতো পালংখালীতে মতবিনিময় সভা আহবান করেন। কিন্তু সোহেল আহম্মদ বাহাদুর সভাস্থলে আসার পূর্বেই পালংখালী যুবলীগ আহবায়ক কামাল হোসেন সওদাগর ও যুগ্নআহবায়ক রেজাউল করিম ছুট্টু দু’ গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েন। উপজেলা সভাপতি মুজিবুল হক আযাদ ও সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেনসহ সিনিয়র নেতারা কামাল হোসেন সওদাগরের সভাস্থলে উপস্থিত হন। অপরদিকে ইউনিয়ন যুবলীগের তৃনমূল নেতাকর্মীরা রেজাউল করিম ছুট্টুর পক্ষে অবস্থান নেন। ওইসময় দু’পক্ষের অনুসারীদের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে সোহেল আহম্মদ বাহাদুর পালংখালী ষ্টশনে পৌছালে দু’গ্রুপের নেতারা স্ব স্ব সভাস্থলে নিতে সোহেল আহাম্মদ বাহাদুরকে নিয়ে টানাটানি করতে থাকেন। একপর্যায়ে দু’গ্রপের নেতাকর্মীরা হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কিতে লিপ্ত হলে সোহেল আহম্মদ বাহাদুর তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এক পর্যায়ে নেতাকর্মীদের উপর বিরক্ত হয়ে তিনি ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। উপজেলা যুবলীগের দায়িত্বশীল এক নেতা জানান, তিনি মিটিংয়ে উপস্থিত থাকলেও তার টার্গেট ছিল সোহেল আহম্মদ বাহাদুরকে ‘সাইজ’ করা। তিনি তা আচ করতে পেরে দ্রুত পালিয়ে যান। যুবলীগের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তাদের সাথে উখিয়া-টেকনাফে এমপি আবদুর রহমান বদি আছেন। বদির নির্দেশ মতো সভা বানচাল করেছেন তারা।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।