টেকনাফের এক্সক্লোসিভ ট্যুরিজম জোন ও দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্র্যালয়ের বিশেষ প্রতিনিধি দল।
জানা যায়,৭ আগষ্ট দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন ভুমি মন্ত্রণালয়ের জৈষ্ঠ্য সচিব মোহাম্মদ সফিউল আলম,প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম,সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সচিব এম,এ,এন সিদ্দিক,বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) পবন চৌধুরী,বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী,বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়য়ের সচিব মনোয়ার ইসলাম,স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব আবদুল মালেক,পরিবশে ও বন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব ড.কামাল উদ্দিন আহমদ,বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান অপরূপ চৌধুরী, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) যুগ্ন সচিব,প্রকল্প পরিচালক মোঃ হারুনুর রশিদ,বেজার উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ এ,কে,এম মাহবুবুর রহমান ও বেজার উপ সচিব মলয় চৌধুরী। প্রতিনিধি দল টেকনাফ স্থলবন্দরে পৌঁছলে হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ের স্কাউট দল গার্ড অব অনার প্রদান করেন। এ সময় টেকনাফ ৪২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক আবুজার আল জাহিদ, উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমদ,নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মোজাহিদ উদ্দিন,মডেল থানার ওসি আতাউর রহমান খোন্দকারসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা,সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। প্রতিনিধি দল নাফনদীতে অবস্থিত প্রস্তাবিত ট্যুরিজম স্পট জইল্যারদ্বীপ পরিদর্শন করেন। বিকালে প্রতিনিধি দল টেকনাফের সাবরাং খুরের মূখে বাস্তবায়নাধীন অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ভিশন ডুকোমেন্ট নামক বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান,আগামী এক বছরের মধ্যে সাবরাংয়ের অর্থনৈতিক অঞ্চলটি বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে। সে লক্ষ্যে ৯ সচিবসহ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সরেজমিন পরিদর্শনে এসেছেন। এসময় তিনি আরো বলেন, ২০২১সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে কক্সবাজারের দীর্ঘ সমুদ্র সৈকতকে ব্যবহার করে এতদাঞ্চলের উন্নয়নের পাশাপাশি ট্যুরিজম বিস্তৃত করায় এ প্রকল্পের লক্ষ্য। পরিবেশ পরিস্থিতি ঠিক রেখে এ অর্থনৈতিক অঞ্চল বাস্তবায়ন করা হবে। এ জোনটি বাস্তবায়িত হলে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হবে। এছাড়া সাবরাংয়ের অর্থনৈতিক জোনের পাশাপাশি চট্টগ্রামের মিরসরাই থেকে টেকনাফ পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ সড়কের পাশে আরো অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। প্রতিনিধি দল সন্ধ্যায় কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।ৃৃৃ
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।