টেকনাফে এক অন্তসত্বা গৃহবধু নির্মম মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় সর্বত্র দেখা দেয় নানা রহস্য। গৃহবধুর মৃত্যুর জন্য স্বামী স্ত্রীর দু’পক্ষের অভিভাবকরা একে অপরকে দায়ী করছে। তবে উক্ত গৃহবধু ব্যাপক মারধরের আঘাতে মৃত্যু বরণ করেছে বলে অভিযোগ করে টেকনাফ থানায় একটি হত্যা মালা রুজু করা হয়েছে। ২৩ মার্চ ঘটনাটি ঘটেছে টেকনাফ উপজেলার খারাংখালী মহেশখালীয়া পাড়া গ্রামে। এনিয়ে মেয়ে ও ছেলে পক্ষের পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। সূত্রে জানা যায়, ১ বছর পূর্বে স্থানীয় মহেশখালীয়াপাড়া গ্রামের আবু ছিদ্দিকের পুত্র ওমর হাকিম প্রকাশ সোনা মিয়া ও নছর পাড়া গ্রামের মীর আহমদের কন্যা জাহানারা বেগম এর সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সোনা মিয়ার শশুর পক্ষের সাথে বিরোধ চলে আসে। এনিয়ে গত ১৮ মার্চ স্বামী স্ত্রী দুজনের মধ্যে বাক বিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ খবর পেয়ে জাহানারার মা বাবা রাতেই মেয়েকে শশুর বাড়ী থেকে নিয়ে যায়। পরে তারা কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। জাহানারার পিতার অভিযোগে জানা যায়, স্বামী ব্যাপক মারধর করার আঘাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৩ মার্চ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে অন্তসত্বা জাহানারা নির্মম ভাবে মৃত্যু বরণ করেছে। পরে তার ময়নাতদন্ত শেষে নাছর পাড়া এলাকায় দাপন সম্পন্ন করা হয়। জাহানারার স্বামী সোনা মিয়া এ অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো তার স্ত্রীকে সংসার বিচ্ছেদ করার কু- উদ্দেশ্যে জোর করে তার বাড়ী থেকে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার নামে কক্সবাজারে গোপনে গর্ভপাত ঘটিয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। গর্ভপাতের কারণে তার স্ত্রীর নির্মম মৃত্যু হয় বলে দাবী করে এর জন্য তার শশুর পক্ষকে দায়ী করে। এদিকে জাহানারা বেগমের মৃত্যুর ঘটনায় তার পিতা বাদী হয়ে স্বামী সোনা মিয়াকে আসামী করে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।