কক্সবাজারের টেকনাফে জেডিসি পরীক্ষার্থী অপহরণের ঘটনায় অপহৃত জেডিসি পরীক্ষার্থী রেশমি আক্তারকে (১৪) উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় অপহরণকারী মোঃ হেলালকে (২৪) আটক করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে পুলিশ বাহারছড়া শামলাপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
অপহরণকারী হেলাল হ্নীলা রঙ্গীখালী লামারপাড়ার হাজী নূর আহাম্মদের ছেলে।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) আব্দুল মজিদ জানান, অপহৃত ওই ছাত্রীসহ অপহরণকারীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়। তবে অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মাসুদ মুন্সী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে কক্সবাজার আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত সোমবার দুপুরে টেকনাফের হ্নীলা লেদা এলাকার মৃত কামাল হোসেনের কিশোরী মেয়ে হ্নীলা শাহ মজিদিয়া মাদ্রাসার জেডিসি পরিক্ষার্থী রেশমি আক্তার (১৪) রঙ্গিখালী দারুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে থেকে পরীক্ষা শেষে বাড়ী ফিরছিলেন। এসময় হ্নীলা আলীখালী রাস্তার মাথায় পৌঁছালে অপহরণকারীরা তাকে জোর পূর্বক একটি নোহা মাইক্রোতে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এসময় রেশমির চিৎকারে অটোরিক্সা চালক ও স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে মাইক্রোটি দ্রুত পালিয়ে গেলেও অপহরণকারীর সদস্য লুৎফুর রহমানকে (৩০) আটক করা হয়।
গত মঙ্গলবার অপহৃত শিক্ষার্থীর বড় ভাই মোহাম্মদ ইসলাম বাদী হয়ে হ্নীলা রঙ্গীখালী লামার পাড়ার হাজী নূর আহাম্মদের ছেলে মোঃ হেলালকে প্রধান করে আটক লুৎফুর রহমান ও একই এলাকার সৈয়দ আলম, রিয়াজ উদ্দীন পুতিয়া, নাছিমা আক্তারকে আসামি করে অজ্ঞাত কয়েক জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে।
তবে পরীক্ষার্থী রেশমির পরিবার জানান, অপহরণকারী হেলাল দীর্ঘদিন ধরে রেশমিকে ইভটিজিংসহ অপহরণ করার হুমকি দিয়ে আসছিল। এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যকে জানানো হলে হেলাল ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসীর মাধ্যম এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।