টেকনাফ থেকে অপহৃত ব্যবসায়ীকে ৪দিন পর জেলার হাইমচর থেকে উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় অপহরণের সঙ্গে জড়িত মূল হোতাসহ ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
অপহৃত উদ্ধারকৃত ব্যবসায়ী মো. আহম্মদ হোছেন জানায়, বছর খানেক পূর্বে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার মারিশ বুনিয়া এলাকায় চাঁদপুরের উত্তর আলগী গ্রামের সোনা মিয়া গাজীর ছেলে মো. সফিকুর রহমান গাজীর সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক হয়। সেই সম্পর্কের জের ধরে সফিকুর রহমান গাজী চাঁদপুরে ব্যবসায়িক কাজের কথা বলতে আসতে বলে।
শুক্রবার রাতে বাসযোগে চাঁদপুরে আসলে সফিকুর রহমান গাজী নিজ বাড়িতে না নিয়ে আমাকে চাঁদপুর উত্তর আলগী গ্রামে তার বোন জামাতা মনির হোসেনের বাড়িতে নিয়ে আটক করে রাখে। পরে আমার পরিবারের কাছে সফিকুর রহমান গাজী মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণ না দিলে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলাসহ নানা ধরনের হুমকি ধামকি দেয়।
অপহরণকারীর মূলহোতা সফিকুর রহমান গাজী আমাকে আটক করে বার বার টাকা আনার জন্য তাগিদ দিতে থাকে। এক পর্যায়ে অপহরণকারী সফিক আমাকে দেড় লক্ষ টাকা এনে দেওয়ার জন্য বলে। এসময় শিশু জিল্লুর রহমানকে বাজারে নাছির পাঠানের বিকাশের দোকানে পাঠায় টাকা এসেছে কিনা খবর নেয়ার জন্য।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম জানান, খবরটি আমরা টের পেয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেই। অবশেষে রোববার গভীররাতে অপহরণ হওয়া ব্যবসায়ী মো. আহম্মদ হোছনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হই। একইসঙ্গে অপহরণের সাথে জড়িত মূল হোতা সফিকুর রহমান গাজী (৪৮), উত্তর ভিঙ্গোলিয়া গ্রামের বশির উল্লাহ পাঠানের ছেলে নাছির পাঠান (২৩), জামাল ঢালির ছেলে মনির ঢালি (৩৮) ও মনির হোসেনের ছেলে জিল্লুর রহমানকে (১৫) আটক করা হয়।
এ ঘটনায় মো. আহম্মদ হোছনের ভাই ছালামত উল্লাহ বাদী হয়ে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে। সোমবার অপহরণকারীদের কোর্টে চালান করা হয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।