টেকনাফে রাতে এশার নামাজ পড়ার নামে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভূক্ত এক ইয়াবা ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে ইয়াবা,অস্ত্র ও যৌন উত্তেজক পানীয় জব্দ করা হয়েছে।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়-৮ফেব্রুয়ারী সকালে দু‘পক্ষের মধ্যে বন্দুক যুদ্ধের খবর পেয়ে টেকনাফ মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই কাঞ্চন কান্তি দাশ সর্ঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে টেকনাফ স্থলবন্দর সংলগ্ন কেরুন তলীর পাহাড়ী এলাকার পাদদেশ হতে এক ব্যত্তির গুলিবিদ্ধ মৃত দেহ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল হতে ১০প্যাকেট ইয়াবা বড়ি,একটি দেশীয় তৈরী আগ্নেয়াস্ত্র ও ২বোতল যৌন উত্তেজক জিংসেন সিরাপ জব্দ করে। লাশ উদ্ধার করে পোস্ট মর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে ওসি আব্দুল মজিদ সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন। পরে মৃতদেহের ছবি অনলাইন পোর্টাল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হলে নিহত ব্যক্তি হ্নীলা মৌলভী বাজারের মৃত অছিয়র রহমানের পুত্র সোলতান আহমদ প্রকাশ চামড়া বাদশা বলে সনাক্ত করা হয়। স্থানীয় লোকজন জানায় সে একজন চিহ্নিত বড় মাপের ইয়াবা ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে টেকনাফ থানাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় মাদক ও বিভিন্ন অপরাধের প্রায় দেড় ডজন মামলা রয়েছে বলে সুত্র দাবী করছে। এই ব্যাপারে নিহতের পরিজনের সাথে কথা বলতে চাইলে পুত্র সাদ্দাম জানান,গত ৭ফেব্রুয়ারী রাতে এশার নামাজ পড়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর তার ব্যবহৃত মুঠোফোন বন্ধ হয়ে যায়। আমরা সারারাত না পেয়ে মা,৪ভাই,৩বোনসহ সবাই খুবই উদ্বিগ্ন ছিলাম। সকাল সাড়ে ৯টারদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে ছবি দেখার পর আমার বাবা নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত হই। এই ব্যাপারে সাদ্দাম জানান আমার বাবাকে ইয়াবা ব্যবসায়ী অভিযোগ করা হলেও কোন হাতে-নাতে অবৈধ মাদক নিয়ে আটক হয়নি। মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে নিহত পিতার বিরুদ্ধে ৩/৪টি মিথ্যা মামলা রয়েছে দাবী করে আরো বলেন জমি বিরোধের জেরধরে এলাকার চিহ্নিত একটি শত্রুমহল পরিকল্পিতভাবে মোটাংকের মিশন নিয়ে আমার বাবাকে নৃশংসভাবে খুন করে। ইয়াবা ব্যবসায়ীদের উৎপাতে অতিষ্ঠ জনসাধারণ বিভিন্ন স্থানে উল্লাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে। টেকনাফ মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই কাঞ্চন কান্দি দাশ জানান এই ঘটনায় তদন্ত স্বাপেক্ষ ৩টি পৃথক মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। এদিকে ইয়াবা ব্যবসায়ী দু‘গ্রুপের মধ্যে বন্দুক যুদ্ধে ইয়াবা গডফাদার চামড়া বাদশা নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ায় পুরো টেকনাফের ব্যস্থতম এলাকা সমুহ আতংকে ফাঁকা হয়ে যায়। ইয়াবা ব্যবসায়ে অভিযুক্তরা গা ঢাকা দিয়ে আত্বগোপনে চলে যেতে দেখা গেছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।