টেকনাফে আইনকে বৃদ্ধা আঙ্গুলী দেখিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত এনজিও মুসলিম এইডের কার্যক্রম বহাল রেখেছে। তাদের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে ইন্দন ও অবৈধ কর্মকান্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগে নিষিদ্ধ এনজিও সংস্থা মুসলিম এইড টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এখনো কার্যক্রম চালাচ্ছে। এনজিও ব্যুরো তথা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বার বার মুসলিম এইডের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা থাকলেও গোপনে সংস্থাটি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
এব্যাপারে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক সাংসদ অধ্যাপক মোঃ আলী জানান, কি করে, কিসের জোরে সরকারী নির্দেশ অমান্য করে নিষিদ্ধ এনজিওটি কার্যক্রম চালায় তা খতিয়ে দেখা দরকার। অবৈধ এ সংস্থাটির বিভিন্ন কর্মকান্ডে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান।
রোহিঙ্গাদের ইন্ধন, সরকার বিরোধী কর্মকান্ডের অভিযোগে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরের শুরুতে এনজিও ব্যুরো কর্তৃক মুসলিম এইড সহ ৩টি এনজিও সংস্থার সমস্ত কার্যক্রম গুটিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। এতদ সংক্রান্তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করা হয়। অপরাপর এনজিও’রা কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়েছে। কিন্তু মুসলিম এইড বারে বারে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।
এবছরের শুরুতে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মোজাহীদ উদ্দিন লেদাস্থ মুসলিম এইড হাসপাতাল ও দমদমিয়া মুসলিম এইড অফিস সিলগালা করে দেয়। পরে ইউএনও’র নির্দেশনা অমান্য করে লেদাস্থ হাসপাতালের সিলগালা খুলে ফেলে সংস্থার কর্মীরা। যা পত্র পত্রিকায় লেখালেখিও হয়েছে। সর্বশেষ ফেব্রুয়ারী মাসে লেদা ক্যাম্প থেকে মুসলিম এইড পর্যায়ক্রমে নিজেদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে বলে সংস্থাটির এক শীর্ষ কর্মকর্তা দাবী করেন। তবে দমদমিয়াস্থ মুসলিম এইড অফিসে ইউএনও’র নির্দেশ অমান্য করে অর্ধশত স্টাফ নিয়ে এখনো কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে নির্ভরযোগ্য সুত্র জানায়। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিও কর্মীরা নানা অপপ্রচারে নেমেছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।