কক্সবাজারের টেকনাফের নয়াপাড়া আনসার ক্যাম্পের আনসার সদস্য খুন ও ১১টি অস্ত্র লুটের ঘটনায় অন্যতম হোতা খাইরুল আমিন(বড়) ও মাস্টার আব্দুল কালাম আজাদকে ৯ জানুয়ারী সোমবার বিকালে উখিয়ার রোহিঙ্গা অধূ্যষিত কুতুপালং এলাকা থেকে ১টি পিস্তল ও ১টি ওয়ান শুটার গান এবং গুলি সহ আটক করেছে র্যাপিড অ্যকশন ব্যাটেলিয়ার(র্যাব-৭)।
র্যাব-৭ এর কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লে. কর্ণেল আশেকুর রহমান খাইরুল আমিন(বড়) ও মাস্টার আব্দুল কালাম আজাদকে অোটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য ২০১৬ সালের ১৩ মে টেকনাফের নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড শরণার্থী ক্যাম্পের পাশের পাহাড় হতে ১৫/২০ জন মুখোশধারী ডাকাত সিওডি ব্লক সংলগ্ন শালবাগান আনসার ক্যাম্পে হামলা চালায়।পরে ব্যারাকে ঢুকে আনসার সদস্যদের রশি দিয়ে বেঁধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করেে এবং আলী হোসেন (৫৫) নামে এক আনসার সদস্যকে গুলি করে হত্যা করে।
এসময় হামলাকারীরা ১৫ মিনিটের মধ্যে ওই ক্যাম্পের আনসার বাহিনীর ব্যারাক থেকে দুটি এসএমজি, পাঁচটি চায়নিজ রাইফেল, চারটি শটগান ও ৬৭০টি গুলি লুট করে পালিয়ে যায়। নিহত আনসার সদস্যের বাড়ি টাঙ্গাইলের শফিপুরের মৃত শুক্কুর আলীর ছেলে আলী হোসেন (৫৫)।
জানা গেছে,ওই ঘটনায় সন্দেহভাজন ডাকাতরা হলেন- চট্টগ্রামে অবস্থানকারী রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) নেতা আবদুর রাজ্জাক ও ডি ব্লকের শীর্ষ ডাকাত রফিক, টেকনাফের শীর্ষ ডাকাত আবদুল হাকিম ডাকাত, রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের মোস্তাক, হারুন, নুর আলম, নেজাম, জকির আহমদ, রশিদ উল্লাহ, হাসান, মো. আয়াছ, হোসেন আহমদ, কেফায়েত উল্লাহ, মাস্টার রশিদ, ডা. ইউনুছ, খোরশেদ ও মাহামুদুল হাসান ও কুতুপালং শরণার্থী শিবিরের খাইরুল আমিন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।