টেকনাফে এক নির্মাণ শ্রমিককে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে। এই ব্যাপারে উক্ত রাজমিস্ত্রী জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
জানা যায়-উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের মুন্ডার ডেইলের আবুল হোছনের পুত্র ফজল করিম (৩২) হোয়াইক্যং ইউনিয়নের পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়ার মৃত সোনা আলীর পুত্র নির্মাণ শ্রমিক ইব্রাহীম (৩০) কে মুঠোফানে প্রাণনাশের হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। এরই জেরধরে হ্নীলা ষ্টেশনের জনৈক ব্যক্তিকে ভাড়াটে হিসেবে নিয়োগ করে। ভাড়াকৃত ব্যক্তি উক্ত নির্মাণ শ্রমিকের পরিচয় পেয়ে ফজল করিম কর্তৃক প্রাণে মারার বিষয়টি জানতে পারে। উক্ত রাজমিস্ত্রী উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় পেশাগত দায়িত্ব পালন করে। তাই রোহিঙ্গা বংশোদ্ভুত সন্ত্রাসী কর্তৃক হুমকির কারণে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গত ১৮মার্চ টেকনাফ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। এই প্রাণনাশের হুমকির তথ্য খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। গত ২০১৬সালের নভেম্বর মাসে সাবরাং মুন্ডার ডেইলের জনৈক গফুরের বাড়ি নির্মাণের কাজ করার সময় পাশ^র্তী রোহিঙ্গা নাগরিক ইউনুছের স্ত্রী দিলকিয়াছ (২৮)কে পারিবারিক কলহের জেরধরে স্বামী ইউনুছ বাড়ি থেকে বের করে দেন। উক্ত মহিলা ঐ বাড়ির বাহিরে অবস্থান করায় তালাক দেওয়া স্বামী তাকে মারধর করে। রাজমিস্ত্রী ইব্রাহীম মানবিক কারণে উক্ত মহিলাকে উদ্ধার করে কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পের বোনের বাসায় রেখে আসে। এই উপকারের সুত্র ধরে দিলকিয়াছ প্রায় সময় রাজমিস্ত্রী ইব্রাহীমের সাথে মুঠোফোনে কথা বলত। এক পর্যায়ে খাওয়ার আমন্ত্রণ দিয়ে যাদুমন্ত্রের মাধ্যমে ৩সন্তানের জনক ইব্রাহীম মিস্ত্রীকে বশে নিয়ে গোপনে বিয়ে করে বসে। প্রায় ৩মাস সংসার করার পর পবিত্র কোরআন শরীফ ছুঁয়ে শপথ করে সাবরাং বোনের বাড়িতে বেড়াতে যায়। তখন বোন জামাই ফজল করিম উক্ত মহিলার মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে আটকে রাখে। এরপর আগের স্বামী ইউনুছের জন্য আদালতে ক্ষতি-পূরণ চেয়ে মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলা দায়েরের পর ইব্রাহীম মিস্ত্রীকে দিলকিয়াছ বিয়ের খবর ছড়িয়ে পড়ায় উক্ত মহিলার দোলা ভাই ফজল করিমসহ ৩/৪জন মিলে ক্ষুদ্ধ হয়ে রাজমিস্ত্রী ইব্রাহীমকে এই প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। ভূক্তভোগী রাজমিস্ত্রী ইব্রাহীম এই ব্যাপারে সকলের আন্তরিক সহায়তা কামনা করেছেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।