টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন কোস্টগার্ড জওয়ানেরা গত ২দিনে পৃথক অভিযান চালিয়ে সেন্টমার্টিন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর এলাকা হতে ৩০কোটি টাকা মূল্যমানের ৬লক্ষ পিস ইয়াবা বড়িসহ ৪জনকে আটকের পর আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে টেকনাফ মডেল থানায় সোর্পদ করেছে।
৬ডিসেম্বর বিকাল ৪টায় টেকনাফ কোস্টগার্ড ষ্টেশন কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে অভিযান নিয়ে বক্তব্য রাখেন টেকনাফ কোস্টগার্ড ষ্টেশন কমান্ডার লেঃ নাফিউর রহমান ও সেন্টমার্টিন কোস্টগার্ড ষ্টেশন কমান্ডার মোঃ আতাউর রহমান। এতে কর্মকর্তাদ্বয় জানান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ৫ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১১টারদিকে ছেঁড়া দ্বীপের ২নটিক্যাল দক্ষিণ-পশ্চিম পার্শ্বে মাইল এলাকায় ভাড়াটে বোটে করে অভিযানে যায়। একটি ইঞ্জিন নৌকা কোস্টগার্ড সদস্যদের দেখে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ধাওয়া করে থামায়। উক্ত বোটে একটি হলুদ বস্তা ভর্তি ইয়াবা বড়িসহ টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবিরছড়ার আব্দুল হামিদের পুত্র বাবুল মিয়া (১৮),হোছন আহমদের পুত্র মোঃ ইদ্রিস (৩২),মোহাম্মদ সেলিমের পুত্র জুবাইর (১৮) ও মোঃ সিরাজের পুত্র মোঃ জমির (৩৫)কে আটক পূর্বক বোটটি জব্দ করে। যা গণনা করে ৫০হাজার ইয়াবা বড়ি পাওয়া যায়। এদিকে ৬ডিসেম্বর ভোররাত পৌনে ২টায় ইয়াবার চালান আসার খবর পেয়ে আরো একটি বিশেষ টহল দল সেন্টমার্টিন দক্ষিণ পাড়ার পশ্চিম বীচে পাঠানো হলে লোকজনের আনা-গোনা দেখতে পেয়ে সন্দেহ জাগে। কোস্টগার্ড সদস্যরা তাদের থামতে বললে ৩টি বস্তা ফেলে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল হতে কোস্টগার্ড জওয়ানেরা বস্তা ৩টি উদ্ধার করে কোস্টগার্ড ষ্টেশনে নিয়ে গণনা করে ৫লাখ ৫০হাজার ইয়াবা বড়ি পাওয়া যায়। কোস্টগার্ডের নির্ধারিত মূল্যে প্রতি পিস ৫শ টাকা করে ৩০কোটি টাকার ৬লাখ ইয়াবা বড়িসহ ধৃত ৪জনকে সংবাদ সম্মেলনে হাজির করা হয়। এতে ধৃত বাবুল মিয়া জব্দকৃত ৫০হাজার ইয়াবার মালিক টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবিরছড়ার কালু হাজী প্রকাশ তক্তা কালুর পুত্র আব্দুল মতলব (৩৫)সহ ৩ব্যক্তির বলে জানায়। তারা প্রতিজন ৫হাজার টাকা করে আর্ন্তজাতির সীমারেখার জিরো পয়েন্ট হতে ইয়াবার চালান গ্রহণ করে মালিক বুঝিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নেয়। কিন্তু কোস্টগার্ডের হাতে ধরাপড়ায় ইয়াবা বাণিজ্যের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেটের গোমর ফাঁস হয়ে যায়। সংবাদ সম্মেলনের পর আটককৃতদের ৫০হাজার ইয়াবা বড়িসহ টেকনাফ মডেল থানায় সোর্পদ এবং পরিত্যক্ত ৫লাখ ৫০হাজার ইয়াবা বড়ি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানানো হয়।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।