এবার সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে ইয়াবা আটকের ঘটনা নিয়ে লুকোচুরি ঘটনায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। এরা হলেন- হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক ( এসআই) সরোজ রতন আচার্য্য ও সহকারি উপ-পরিদর্শক ( এএসআই) মোস্তাক আহমদ। ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে পুলিশ লাইন্স এ সংযুক্ত করা হয়েছে বলে পুলিশের নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা দাবি করেছেন।
তবে বদলির বিষয়ে হোয়াইক্যং ফাঁড়ী পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) সরোজ রতন আচার্য্য কোন কিছু বলতে রাজি হয়নি সাংবাদিকদের সাথে।
অপর দিকে একই ফাঁড়িতে অভিযান চালিয়ে ১২ হাজার ইয়াবাসহ ৬ ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। এ সময় ইয়াবা বহনের দায়ে একটি সিএনজি (কক্সবাজার থ ১১) জব্দ করা হয়।
জব্দকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বদলি করা হয় বলে সূত্রটি জানায়।
পুলিশ সূত্র জানায়, ২৯ জুন রাত ১১ টার দিকে গোপন সংবাদে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ীর পাশাপাশি মহাসড়কে টেকনাফ হয়ে কক্সবাজার অভিমূখী একটি সিএনজিতে তল্লাশি চালিয়ে পর্যায়ক্রমে চালকসহ ৬ ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকার ইয়াবার মুলহুতা মোঃ ইসমাঈলের ছেলে মোঃ শাহনেওয়াজ , মোঃ হানিফের ছেলে মোঃ তৈয়ব, আবুল হোছনের ছেলে মোঃ ইউসুপ, আব্দুল হাবির ছেলে চালক আব্দু রশিদ, মোঃ শফিকের ছেলে হেলাল উদ্দিন এবং হোয়াইক্যং মাঝেরপাড়া এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে ওসমান গনি।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আতাউর রহমান খোন্দকার আটক ও অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগের বিষয়টি সত্য নয়। তবে বদলির বিষয়টি পুলিশ বিভাগের অভ্যন্তরীন বিষয়।
প্রসঙ্গত: গত কয়েক দিন আগে ইয়াবা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কক্সবাজার ডিবির ওসিসহ ১১ জনকে বদলি করা হয় বিভিন্ন জেলায়।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।