টেকনাফে বিজিবি জওয়ানেরা পৃথক অভিযান চালিয়ে ৩২হাজার ৮০পিস ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করেছে। ইয়াবা বাণিজ্যে সম্পৃক্ততার অভিযোগে এক মহিলাকে আটক করা হয়েছে।
সুত্র জানায়-গত ১০মার্চ ভোররাত পৌনে ৫টারদিকে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের সাবরাং বিওপির বিশেষ টহলদল নিজস্ব গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে হাবিলদার মোঃ নজরুল ইসলাম ডাঙ্গরপাড়া সীমান্তে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর এক ব্যক্তি একটি পুটলা হাতে নিয়ে সামনে আসতে দেখে বিজিবি জওয়ানেরা চ্যালেঞ্জ করা মাত্র ব্যাগটি ফেলে দ্রুত পালিয়ে যায়। টহল দল ঘটনাস্থলে তল্লাশী চালিয়ে পুটলাপি উদ্ধার করে ব্যাটালিয়ন সদরে নিয়ে গণনা করে ৩৬লক্ষ টাকা মূল্যমানের ১২হাজার পিস ইয়াবা বড়ি পাওয়া যায়। তা পরবর্তীতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে ধ্বংস করার জন্য ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে। এদিকে একই দিন বিকাল ৫টায় নাজিরপাড়া বিওপির নায়েব সুবেদার এনায়েত আলী ইয়াবা পাচারের সংবাদ পেয়ে বিশেষ টহল দল নিয়ে সাবরাংস্থ নয়াপাড়া বাজারে অবস্থান নেয়। এসময় টেকনাফগামী যাত্রীবাহী একটি সিএনজি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় এক মহিলার আচরণ সন্দেজনক হওয়ায় তার ব্যবহৃত ভ্যানিটি ব্যাগ তল্লাশী করে ১০হাজার ৮০পিস ইয়াবা বড়িসহ স্থানীয় আব্দুল্লাহর স্ত্রী ইসমত আরা (১৯)কে আটক করে। এমতাবস্থায় সিএনজি হতে পালিয়ে যাওয়ায় নয়াপাড়ার মোঃ ইউনুছের পুত্র মোঃ আব্দুল্লাহ (২৫)কে পলাতক আসামী করে একটি মামলা দায়ের করার পর ধৃত মহিলাকে টেকনাফ মডেল থানায় সোর্পদ করা হয়েছে। একই বিওপির হাবিলদার মোঃ আলম রাব্বী ইয়াবার চালান আসার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কচুবনিয়া সীমান্তে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর একজন মানুষ একটি পুটলা নিয়ে আসতে দেখলে বিজিবি জওয়ানেরা চ্যালেঞ্জ করামাত্র পুটলাটি ফেলে অন্ধকারে পালিয়ে যায়। তখন ঘটনাস্থল তল্লাশী চালিয়ে পুটলাটি উদ্ধার করে ব্যাটালিয়ন সদরে নিয়ে গণনা করে ৩০লক্ষ টাকা মূল্যমানের ১০হাজার পিস ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করে। তা পরবর্তীতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে ধ্বংস করার জন্য ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।