রহমত উল্লাহ::
টেকনাফে বিজিবির সাথে বন্দুক যুদ্ধের ঘটনায় দুই রোহিঙ্গা মাদক কারবারী নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অস্ত্র, গুলি ও বড় একটি ইয়াবার চালান।
বিজিবির পাঠানো প্রেস বার্তায় জানা যায়,
২৫ জুলাই শনিবার গভীর রাতে বিজিবি জানতে পারে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন লেদা নাফনদী সীমান্ত এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে বড় একটি ইয়াবার চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। সেই গোপন সংবাদের তথ্য অনুযায়ী হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা বিওপিতে দায়িত্বরত ২ বিজিবি সদস্যদের একটি দল উক্ত এলাকায় অভিযানে গিয়ে নাফনদী ছুরির খাল লবন মাঠ সংলগ্ন কেওড়া বাগানের ভিতর অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর নাফনদী সাঁতরিয়ে ২/৩জন লোক উপকুলে প্রবেশ করার সময় বিজিবি সদস্যরা তাদের চ্যালেন্জ করে তাদের থামানোর চেষ্টা করলে মাদক পাচারে জড়িত অপরাধীরা বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ শুরু করে। এতে বিজিবির তিন সদস্য আহত হলে আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলিবর্ষন শুরু করে। উভয় পক্ষের গোলাগুলি থেমে যাওয়ার গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকা দুই যুবককে উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরন করে। সেখানে পৌছার পর কর্মরত চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ দুইজনকে মৃত ঘোষনা করে।
নিহতরা হচ্ছে,উখিয়া বালুখালী ১নং রোহিঙ্গা শিবিরের এইচ বল্কের বাসিন্দা হাবিব উল্লাহ’র পুত্র মোঃ ফেরদৌস (৩০),মৃত সৈয়দ আহাম্মদের পুত্র আব্দুস সালাম(৩৫)। এদিকে বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ২ লক্ষ ১০ হাজার ইয়াবা, দেশীয় তৈরী ১টি অস্ত্র,১ রাউন্ড গুলি,১টি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করে।
সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান (পিএসসি) জানান, উদ্ধারকৃত ইয়াবা গুলোর আনুমানিক মুল্য ৬ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা। তিনি আরো বলেন, মাদক পাচার প্রতিরোধে সীমান্ত প্রহরী বিজিবি সদস্যরা সদা প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি মাদক ব্যবসায় জড়িত অপরাধীদের নির্মুল করার জন্য বিজিবি সৈনিকদের চলমান এই যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।