হুমায়ূন রশিদ,(টেকনাফ): টেকনাফে পারিবারিক কলহের জেরধরে বড় ভাইয়ের এলোপাতাড়ি দারকোপে ছোট ভাইয়ের হাতের দুই আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এখন রক্তাক্ত ছোট ভাই হাসপাতালে মৃত্যুর মুখে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জানা যায়,১৮সেপ্টেম্বর সকাল ৭টারদিকে উপজেলার হ্নীলা দক্ষিণ ফুলের ডেইলের মৃত সোনা আলীর পুত্র মোঃ রফিক (২৮) নাফনদী হতে ঠেলা জাল দিয়ে চিংড়ি মাছ ধরে আসার পর বাড়িতে ঘুমিয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ পর তার সহোদর বেলাল উদ্দিন (৩৬) ধারালো দা নিয়ে ঘুমন্ত রফিককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। এসময় ঘটনাস্থলে হাতের দুইটি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে যায়। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আশংকাজনক অবস্থায় রক্তাক্ত রফিক চিকিৎসাধীন রয়েছে।
তথ্যানুসন্ধানে স্থানীয় লোকজন জানায়,দুই সহোদরই মাদকাসক্ত। বেলাল উদ্দিন এক মেয়ে তিন ছেলেসহ চার জনের সংসারে প্রায় সময় স্ত্রী দিলারা বেগমকে নির্যাতন করে আসছে। শেষ পর্যন্ত দিলারা নিরুপায় হয়ে গত সপ্তাহ খানেক আগে বাপের বাড়ি চলে যায়। বার বার চেষ্টা করেও কেউ বাড়ি ফিরাতে পারেনি। অবশেষে এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের জনক দেবর মোঃ রফিক (২৮) মুঠোফোনে ভাবী দিলারাকে চলে আসতে বলে এবং বড় ভাই বেলাল আর কোন ধরনের নির্যাতন করলে প্রতিবাদ করবে বলে সাহস দেয়। এই কথা বেলাল শুনে ছোট ভাই রফিকের সাথে ভাবী দিলারার অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করায় দু‘ভাইয়ের মধ্যে মনোমালিন্য চরমে পৌঁছে। এরই জেরধরে এই নৃশংস ঘটনা ঘটে বলে পরিবার সুত্রে দাবী করে।
এদিকে অপর একটি মহল দাবী করছে,তারা দু‘ভাইসহ একটি সিন্ডিকেট মিয়ানমার হতে নির্যাতিত হয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নিকট হতে মিয়ানমার মুদ্রা কিয়াত লুটপাট করে ভাগ-বাটোয়ারার বিষয নিয়ে এই ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করছে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।