টেকনাফের লেদা অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা বস্তির ২ হাজার পরিবারের সদস্যরা চৈত্রের রোদ ফাটা গরমে খাবার, পানীয় জল ও চিকিৎসা সংকটের পাশাপাশি ডাকাত চক্রের আতংকে রাত জেগে পাহারা বসিয়েছে।
সরেজমিন রোহিঙ্গা বস্তি পরিদর্শনে দেখা যায়, উপজেলার হ্নীলাস্থ লেদা রোহিঙ্গা বস্তির ৬টি ব্লকের ২ হাজার ৯২ পরিবারের ১৫ হাজারের অধিক রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু বর্তমানে কঠিন সময় পার করছে। সরকারী-বেসরকারীভাবে রেশন প্রথা চালু না থাকায় এই বস্তির রোহিঙ্গারা অর্ধাহার-অনাহারে থাকার পাশাপাশি নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আদৌ পর্যন্ত কোন সংস্থা এই সেবায় এগিয়ে আসেনি। তাই আমাশয়,ডায়েরিয়া, ম্যালেরিয়া, জন্ডিসসহ নানা রোগে আক্রান্তরা চিকিৎসা বঞ্চিত রয়েছে। এখন চৈত্রের খরতাপে পানির চাহিদা বলে শেষ করা যাবেনা। পানি সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় এখন এসব রোহিঙ্গা ব্যবহার্য ও পানীয় পানির জন্য ছুটছে নদী, খাল, পুকুর, পাহাড়ী ছড়া ও পাশ্ববর্তী গ্রামে। পুকুরে পানি আনতে গিয়েই পানিতে ডুবে এক শিশুর নির্মম মৃত্যু হয়। এসবের পরও রাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারছেনা চোর-ডাকাতের ভয়ে। বেশ ক‘বার দূর্বৃত্ত দল হানা দিয়ে বস্তিতে হানা দিয়ে লুটপাট চালানোর পাশাপাশি গুলাগুলি করে ভীতি সৃষ্টি করার ঘটনা ঘটিয়েছে। তাই রোহিঙ্গারা জান-মাল রক্ষার্থে অনেকে টাকা দিয়ে ভাড়াটে লোক দিয়ে পাহারা দিলেও গরীবদের রাত জেগে পাহারায় থাকতে হচ্ছে। এই ব্যাপারে আলমাস খাতুন বলে ভাই আরা বেশী কষ্টত আছি। কিয়া সাহায্য নগরের দ্দে। ভাত নাই, পানি ন পাই, ডাক্তার নাই, রাতিয়া চোর-ডাকাত আইয়্যে। বেশী ডরত আছি। ইলিয়াছ বলেন ভাই আরা রোয়াইনগ্যা। আরাত কন কথা হইত ন পারি। উয়রের আল্লাহ জানে। তবে রোহিঙ্গা বস্তির এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে মানবিক সংকট আরো বাড়তে পারে বলে সচেতন মহল মনে করেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।